অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ, দিল্লির ভোটে বড়ো সিদ্ধান্ত কেজরিওয়ালের

রবিবার,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে অমিত শাহ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং এএপি সুপ্রিমো…

রবিবার,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে অমিত শাহ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং এএপি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দলটির জন্য ‘আপদ’বলে মন্তব্য করেছিলেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেজরিওয়াল শাহকে তীব্র কটাক্ষ ফিরিয়ে দেন।

কেজরিওয়াল শাহকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন,”যদি বিজেপি ঝুগি উচ্ছেদ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে এবং আদালতে এটি নিশ্চয়তা দেয় যে,সমস্ত উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের তাদের জমিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনর্বাসিত করা হবে, তবে আমি দিল্লির নির্বাচন লড়ব না।” তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতারা নির্বাচনের সময় ঝুগি বাসীদের মধ্যে এসে ভোট প্রার্থনা করে, অথচ তারা এই বাসীদের প্রতি কোনও দায়িত্ববোধ দেখায় না।

   

শাকুরবস্তির রেলওয়ে ঝুগি ক্যাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে কেজরিওয়াল নিজেকে ঝুগি বাসীদের ‘রক্ষক’ হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন,“আমরা দেখেছি কিভাবে তাদের (বিজেপি)নেতারা বস্তিতে ঘুমাচ্ছে। তারা ৫-১০ বছর ধরে ঘুমায়নি। গত এক মাস ধরে তাদের নেতারা বস্তিতে ঘুমাচ্ছেন। তারা বস্তিবাসীকে ভালোবাসে না। বিজেপি ধনীদের দল। বস্তিবাসীকে তারা পোকা মনে করে। তারা নির্বাচনের আগে বস্তিবাসীর ভোট চায় এবং নির্বাচনের পর বস্তিবাসীর জমি চায়।”

কেজরিওয়াল বলেন,”বিজেপি যা বলছে,তা মিথ্যা। তারা শুধু তাদের বন্ধুদের এবং বিল্ডারদের জন্য জমি চাইছে,কিন্তু ঝুগি বাসীদের জন্যে তাদের কোনও পরিকল্পনা নেই।” তিনি একে একে বিজেপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন এবং দাবি করেন যে,এই জমি ব্যবহারের পরিবর্তন এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম গত ২৭ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছিল।

এদিকে,কেজরিওয়ালের অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সেক্সেনা। তিনি কেজরিওয়ালকে মিথ্যাচারী বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, “ডিডিএ (ডিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) ২৭ ডিসেম্বরের মিটিংয়ে এই কলোনির জমির ব্যবহার পরিবর্তন করেনি, এবং কোনও উচ্ছেদ বা ভাঙার নোটিসও দেয়নি। কেজরিওয়াল ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলছেন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।” সেক্সেনা কেজরিওয়ালকে পরামর্শ দেন, অবিলম্বে এই বিষয়ে মিথ্যা বলা বন্ধ করার। তিনি আরও বলেন, “না হলে ডিডিএ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

এই পরিস্থিতিতে, দিল্লি বিজেপি সভাপতি বিরেন্দ্র সাচদেবা কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি বলেন,”গত ১০ বছরে কেজরিওয়াল নারেলা অঞ্চলের মতো স্থানে ৫০,০০০ ফ্ল্যাট তৈরি হতে দিয়েছেন, কিন্তু কোনও ঝুগি বাসীকে একটি ফ্ল্যাটও বরাদ্দ করেননি। তিনি ঝুগি বাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য কিছুই করেননি।”

এই সমস্ত অভিযোগ-প্রত্যাঘাতে দিল্লির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এবং আগামী দিনগুলিতে কী ধরনের ফলাফল আসবে, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।