কলকাতা: গত ২ জানুয়ারি প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হতে হয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে৷ এই ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দুলাল খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ সূত্রে খবর, দুলাল সরকারকে মারার জন্য একটি নাইন এমএম পিস্তল ও দু’টি ওয়ান শটার পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে। তা ছাড়াও আততায়ীরা যে পোশাক পরে দুলালকে খুন করতে এসেছিল, সেগুলোরও হদিশ মিলেছে? (tmc leader dulal sarkar murder case)
গুলি করে খুন tmc leader dulal sarkar murder case
গত ২ জানুযারি, গুলি করে খুন করা হয় দুলাল ওরফে বাবলাকে৷ এই ঘটনার পিছনে থাকা মাথাদের ইতিমধ্যেই ধরেছে পুলিশ৷ জেলে রয়েছেন দলের শহর সভাপতি৷ মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ছিলেন সংগঠন করা নেতা। তাঁকে সরিয়ে তৃণমূলকে বিপদে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাছাড়া দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে সরিয়ে কাউন্সিলর হতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি৷ তাই হত্যার ছক কষেন তিনি৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত টিঙ্কু ঘোষ, শামি আখতার, অভিজিৎ ঘোষ–সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়৷
পুলিশের উপর ক্ষোভ tmc leader dulal sarkar murder case
দুলাল খুনের পরই পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুলাল সরকার পুলিশি নিরাপত্তা পেতেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই তা তুলে নেওয়া হয়। এই নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ এই ঘটনায় মূল চক্রী হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা শহরের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ স্বপন শর্মার নাম। পুলিশ জানিয়েছে, ইংরেজবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুন করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। এর নেপথ্যে রয়েছে ‘অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত’ কারণ৷