গত মরসুমে আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে আর্মান্দো সাদিকুকে (Armando Sadiku) দলে টেনেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। তবে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেননি এই তারকা ফুটবলার। যারফলে সিজন শেষে তাঁকে রিলিজ করে দিয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। পরবর্তীতে এই আলবেনিয়ান তারকাকে দলে নিতে একাধিক ফুটবল ক্লাব আসরে নামলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয় মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়া। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছে। বলাবাহুল্য, এই নয়া মরসুমের শুরু থেকেই এফসি গোয়ার জার্সিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে আসছেন সাদিকু।
Also Read | স্টুয়ার্টকে সামনে রেখেই ডার্বি জয়ের ছক বাগান কোচের
গোল করে আসছেন একাধিক ফুটবল ম্যাচে। যারফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম থেকেই দারুন ছন্দে রয়েছে গোয়া শিবির। বর্তমানে ১৩ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসি গোয়া। গত ম্যাচে শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করার পর সেই ধারা বজায় রাখাই এখন অন্যতম লক্ষ্য। বুধবার নিজেদের ঘরের মাঠে দুর্বল হায়দরাবাদ এফসির বিপক্ষে খেলতে নামবে গোয়া শিবির। এখন এই ম্যাচে ও ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য সকলের। অন্যান্য ম্যাচ গুলির মত এই ম্যাচে ও সকলের নজর থাকবে আলবেনিয়ান তারকা আর্মান্দো সাদিকুর দিকে।
Also Read | বুধবার সকালেই শহরে আসছেন ক্রেসপো? উঠে এল নয়া তথ্য
বর্তমানে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নিজের প্রাক্তন ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট নিয়ে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ এই বিদেশি ফুটবলার। আসলে পরিস্থিতির সাপেক্ষে দোলের বদল করতে হলেও বাগান জনতার ভালোবাসা এখন ও ভুলতে পারেননি সাদিকু। তাছাড়া মোহনবাগান ছাড়ার সিদ্ধান্ত যে তাঁর কাছে খুব একটা সহজ ছিল না সেটাও এবার জানিয়ে দিলেন একটি জনপ্রিয় মাধ্যমে। সাদিকু বলেন, ” আমার তরফ থেকে নয়, বরং ক্লাব বলেছিল যে, আমরা একজন নতুন স্ট্রাইকারকে সই করাতে চাই। তাই তোমার জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এরপর আমরা আলোচনায় বসি। এসবের মাঝেই এফসি গোয়া থেকে প্রস্তাব আমার কাছে আসে। আমি সেই দলের কোচের সঙ্গে কথা বলি। তাঁর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি রাজি হয়ে যাই”।
Also Read | সোমবার মিটেছে সই পর্ব, মঙ্গল থেকেই অনুশীলনে রবি
তবে দল বদল করলেও কলকাতা ডার্বিকে নিজের মনের মনিকোঠায় স্থান দিয়েছেন সাদিকু। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” অন্যদের কথা বলতে গেলে কেরালা ব্লাস্টার্সের ফ্যানবেস যথেষ্ট ভালো। কিন্তু তাঁদের গ্যালারি ভর্তি থাকলেও সেটা কুড়ি থেকে তিরিশ হাজার সমর্থকের বেশি নয়। কিন্তু আপনি যদি কলকাতার দিকে যান, তাহলে দেখতে পাবেন মাঠের মধ্যেই প্রায় পঁয়ষট্টি হাজার সমর্থক দলের জন্য গলা ফাঁটান। পাশাপাশি আরও কয়েক হাজার মানুষ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করে থাকে। এক কথায় যা বিরাট পাওনা”।