বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সর্বকালের একজন সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকেন অথচ আউটসাইড দ্যা অফ স্ট্যাম্প বল খেলতেই পারছেন না। তার থেকেও বড় কথা বাইরের বল খেলবো না এই জায়গায় তিনি যেতেই পারছেন না। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা ইগো। না হলে এটা সম্ভব নয়। ইগোর রোগেই মৃত্যু ঘন্টা বাজছে বিরাট কোহলির কিং সাইজ কেরিয়ারে। তিনি যদি টেস্টে ১০হাজার না করেই কেরিয়ার শেষ করেন তাহলে এর থেকে দুঃখজনক কিছুই হবে না ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য।
বিরাট কোহলির লেভেলের প্লেয়ার অফ স্ট্যাম্প ইগো রোগ সারাতে পারছেন না। ৯ বার একইভাবে সদ্য সমাপ্ত বিজিটিতে আউট হতে দেখে দেখে ক্ষুব্ধ সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলেই দিয়েছেন, “বিরাটের পক্ষে বলার মতো কিছু নেই। ও অফ স্টাম্পের বাইরের বল এবং সুইং বল খেলার জন্য যেই কৌশলটি ব্যবহার করছে, তা মোটেও সঠিক পদ্ধতি নয়।”
মঞ্জরেকর বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে সে রান পাচ্ছিল না, অবশেষে শেষ টেস্টে শতরান করে। আপনি তখন কোহলির থেকে আরও ভালো কিছু আশা করবেন, আরও শান্ত এবং দৃঢ় মানসিকতার কোহলিকে দেখতে চাইবেন। কিন্তু এখনও সেই টেকনিকাল গলদ রয়ে গিয়েছে তার। শতরানের পরেও আবার সেই অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে সমস্যায় পড়ছে ও। যা প্রমাণ করে তার গুরুতর টেকনিকাল সমস্যা রয়েছে, যার সমাধান খুঁজে পেতে ব্যর্থ হচ্ছে বিরাট।”
মঞ্জরেকর বলেন, “একটা বড় কারণ কেন বিরাটের ব্যাটিং গড় ৪৮-এ নেমে এসেছে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল বাইরের বল খেলতে তার যে সমস্যা হচ্ছে, সে এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অন্য কিছু চেষ্টা করবে না বলে ঠিকই করে নিয়েছে। আর সেটা হচ্ছে ইগো। ওই বলে খেলে রাজা হয়েছি। ফেল করলেও ওটাই করে যাবো।”
বিগত অনেক বছর ধরে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল বিরাট কোহলির একটা দুর্বলতা এটা সারা বিশ্ব জানে, ২০১১ সালে জেমস অ্যান্ডারসন এই দুর্বলতা খুঁজে বের করেছিলেন, তারপর থেকে সব বোলারের তার বিরুদ্ধে এটাই প্ল্যান থাকে, সবমিলিয়ে রেকর্ড বলছে ২০২০ থেকে ২০২৪ এই পাঁচ বছরে কোহলির গড় টেস্টে ৩০। ফ্যাভ ফোরের তালিকা থেকে ইগো রোগে যেন ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে একদা ক্রিকেটের কিং।