চিনের ভাইরাসে সংক্রমণ বাড়ছে, ভারতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা জারি

চিনের হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস ভারতের (HMPV) কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। নতুন বছরের শুরুতেই বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদ থেকে তিনটি শিশুর এই ভাইরাসে (HMPV) আক্রান্ত হওয়ার…

Health Department of West Bengal Alerts Children and Elderly to Maintain Distance Amid HMPV Panic

চিনের হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস ভারতের (HMPV) কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। নতুন বছরের শুরুতেই বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদ থেকে তিনটি শিশুর এই ভাইরাসে (HMPV) আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পরই দ্রুত সতর্কতা জারি করতে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিশু এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। তারা করোনার (HMPV) সময়কার মতো দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতি সামনে থাকলে সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন উঠছে— কি তবে ফের কোভিডের(HMPV)  মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে?

   

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই ভাইরাসের সংক্রমণ স্বীকার করেছে এবং জানানো হয়েছে যে, বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদে আক্রান্ত শিশুদের দেহে HMPV ভাইরাস পাওয়া গেছে। তবে, এটি চিনের মতো বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত শিশুরা সম্প্রতি বিদেশ সফর করেনি, ফলে চিনের HMPV ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। এই ভাইরাসটি ২০০১ সালে ভারতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল, তবে ধীরে ধীরে তার প্রভাব কমে যায়। এবার এই ভাইরাসের নতুন হুমকি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

চিনে এই ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকায় ভারতেও পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য কোনও অ্যান্টিবায়োটিক এখনও তৈরি হয়নি, তাই সাবধানতা অবলম্বন করাই একমাত্র কার্যকর উপায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ছাড়ালে সতর্কতা জারি করা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা তাই ৫ বছরের কমবয়সি শিশু এবং ৬৫ বছরের ওপরে নাগরিকদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এদিকে, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরও কি একই পথে চলবে? সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞরা তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। প্রথমত, ৫ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের ওপরে ব্যক্তিদের ভিড় এবং জনবহুল জায়গা থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, দ্বিতীয়ত, গণপরিবহণে যাতায়াতকালে মাস্ক পরিধান এবং তৃতীয়ত, শারীরিক অবস্থার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা।

এই ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। তবে, এটি শিশু এবং বয়স্কদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষত যদি তাদের আগে থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ থাকে। তাই সাবধানতা অবলম্বন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়াই সর্বোত্তম উপায়।

যেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্টটির জন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা অ্যান্টিবায়োটিক নেই, তাই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা এবং রোগের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর কি এখন কোনও নতুন নির্দেশিকা জারি করবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।