গত কয়েকটি ফুটবল মরসুমে সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) আশানুরূপ ফল পায়নি বাংলার ফুটবল দল (Bengal)। ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বরং নক আউট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ছেলেদের। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। তবে এই নতুন সিজন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল সকলে। সেইজন্যই কলকাতা ময়দানের অতিপরিচিত মুখ তথা দুই প্রধানের সফল কোচ সঞ্জয় সেনের (Sanjoy Sen) হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলা দলের দায়িত্ব। পরবর্তীতে প্রস্তুতি শিবির চালিয়ে খেলোয়াড়দের বেছে নেন এই বাঙালি কোচ।
সন্তোষ ট্রফি জিতে ‘বিস্ফোরক’ বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন?
বলাবাহুল্য, তাঁর দায়িত্ব গ্ৰহনের পর থেকেই ভোল পাল্টাতে শুরু করে এই ফুটবল দলের। বিশেষ করে এই সন্তোষ ট্রফির মতো ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ থেকেই দারুন ছন্দে ধরা দেন চাকু মান্ডি থেকে শুরু করে ইসরাফিল দেওয়ান সহ আবু সুফিয়ানের মতো ফুটবলাররা। পরবর্তীতে গ্ৰুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনায়াসেই পরবর্তী রাউন্ডে চলে যায় বাংলার ফুটবল দল। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল দলকে পরাজিত করে অনায়াসেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে আসে সঞ্জয় সেনের ছেলেরা।
শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে এই লক্ষ্য মশাল ব্রিগেডের?
তারপর গত মঙ্গলবার নিজামের শহরের শক্তিশালী কেরালা দলকে হারিয়ে খেতাব জয়। সাত বছর পর আবারও ভারত সেরা বাংলা। এ যেন এক স্বপ্নের অধ্যায়। যা অতি সহজেই মনের মণিকোঠায় স্থান করে নেবে বঙ্গের ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। চূড়ান্ত সাফল্যের পর সেই নিয়েই যথেষ্ট উচ্ছসিত থাকতে দেখা যায় এই বাঙালি কোচকে। সঞ্জয় সেন বলেন, ” এটা একটা দারুন অনুভুতি।ক্লাব স্তরের যত ট্রফি রয়েছে আমি মোটামুটি সবই জিতেছি। কিন্তু সাতাশ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে আমার প্রথমবার বেঙ্গলের দায়িত্ব। আমি ধন্যবাদ জানাই আইএফএ’র সকল কর্মকর্তাদের যারা আমার উপর ভরসা রেখেছেন”।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জল্পনা, বর্ষবরণের রাতে অবসর নিলেন হিটম্যান? সিডনি টেস্টে ভারতের নতুন অধিনায়ক!
পাশাপাশি বাংলা দলের কোচ আরও বলেন, ” দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান আজ হয়েছে। সমস্ত যায় ক্রেডিট দলের সাপোর্টিং স্টাফেদের পাশাপাশি ফুটবলারদের। যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন। গত আড়াই মাস ধরে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর দিয়েছি। ভালো লাগছে যে বাংলার সুদিন ফিরেছে। আশা রাখি আগামী বছর থেকে বাংলার আরও অনেক ফুটবলার সুযোগ পাবে”।