অনবদ্য রবি হাঁসদা। এবারের সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল বাংলার (Bengal) ফুটবল দল। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যায় নিজামের শহরের টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সঞ্জয় সেনের (Sanjoy Sen) ছেলেরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী কেরালা (Kerala) দলের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলার ছেলেরা। বছরের শেষ দিনে এমন সাফল্যে যথেষ্ট খুশি আপামর বঙ্গবাসী। এদিন প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই থেকেছে দুই দলের মধ্যে। গোলের বেশ কিছু সুযোগও পেয়েছিল উভয় পক্ষ। কিন্তু গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না কারুর পক্ষেই।
চমকে উঠবেন মেরিনার্সরা! নতুন বছরে বাগানের লক্ষ্য এমন কী?
যারফলে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের শেষে ও অপরিবর্তিত ছিল ম্যাচের ফলাফল। স্বাভাবিকভাবেই খেলা যে পরবর্তীতে আরো অনেকটা দূর এগোবে তা বুঝতে পেরেছিলেন সকলেই। কিন্তু কথায় আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৬ মিনিটের সময়সীমা যুক্ত করেন ম্যাচ রেফারি। সেখান থেকেই বাজিমাত রবি হাঁসদার। তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় বাংলার ফুটবল দল। যার কোনও জবাব ছিলনা কেরল ফুটবলারদের কাছে। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান বজায় রেখেই আসে সাফল্য। এই নিয়ে মোট ৩৩বার ঐতিহ্যপূর্ণ সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা দল।
হায়দরাবাদের এই তরুণ ডিফেন্ডারের দিকে নজর আইজল এফসির
এই নিয়ে মোট ১২টি গোল করলেন রবি হাঁসদা। এক কথায় যা অপ্রতিরোধ্য। বলাবাহুল্য, ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলার ছেলেদের কাছে। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ফুটবলাররা। নাহলে অনায়াসেই এগিয়ে যেতে পারত সেখ সুফিয়ানরা। পরবর্তীতে ঘনঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে কেরালা। দুরন্ত হেড করে গোল করার প্রয়াস করেন মহম্মদ আজসাল। কিন্তু সেটি গোলে রাখা সম্ভব হয়নি। যারফলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয় বাংলা। তারপর প্রথমার্ধের সময় যত এগোয় ততই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে দেখা যায় চাকু মান্ডিদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই আমূল বদল।
ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য সুখবর, জলের দামে টিকিটে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের খেলা দেখা যাবে ইডেনে
মাঝমাঠের দখল নেওয়ার পর থেকেই ক্রমশ ভয়ানক হতে শুরু করে সঞ্জয় সেনের দল। তারপর দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। অতিরিক্ত সময় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে গোল করে যান রবি হাঁসদা। তাতেই আসে সাফল্য।