গোয়েন্দা সাহায্যে দল গড়ছে ইউনূস, জামাতমদতপুষ্ঠ সরকারকে কড়া আক্রমণ বিএনপির

বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বিএনপি (BNP)। সম্প্রতি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অভিযোগ তুলেছেন যে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মদতে বাংলাদেশে…

Md yunus

বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বিএনপি (BNP)। সম্প্রতি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অভিযোগ তুলেছেন যে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মদতে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। রিজভির আশঙ্কা, এই নতুন দলকে পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আনার জন্য রাষ্ট্রীয় মদতেও কারচুপি হতে পারে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি নির্বাচনের ফলাফল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্ধারণ করে, তাহলে জনগণের আত্মত্যাগের কোনও মূল্য থাকবে না। 

ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল কিনল বাংলাদেশ

   

বৃহস্পতিবার এক কর্মসূচিতে রিজভি তার এই অভিযোগটি করেন। তিনি সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করলেও, তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি সম্ভবত মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকেই তার নিশানায় রেখেছেন। রিজভি বলেন, “বিএনপিকে ভাঙার জন্য সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরকারের প্রতি তার আস্থা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির এই অভিযোগ নতুন নয়, তবে রিজভির এই অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং বিএনপি মধ্যকার সম্পর্ক বহুদিন ধরে উত্তপ্ত, এবং দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি একাধিকবার সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও মুক্ত হয়নি এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর নানান ধরনের দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে।

RAW আতঙ্কে ভুগছে বাংলাদেশ

রিজভি এই অভিযোগে যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মদতের কথা বলেছেন, তা সরকারের প্রতি এক ধরনের গুরুতর অভিযোগ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তার মতে, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমর্থনে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হলে তা দেশের গণতন্ত্রের প্রতি একটি বড় আঘাত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, জনগণ যদি এই ধরনের কারচুপি এবং প্রভাবিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেন, তবে তাদের বিশ্বাস ও আস্থা বড় ধরনের আঘাত পাবে।

এছাড়া, বিএনপি এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছে যে, সরকার তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতে এবং বিএনপির নেতৃত্বকে মুছে ফেলতে নানান কৌশল অবলম্বন করছে। এর মধ্যে সরকারের সহযোগিতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার সম্ভাবনা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপি করার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক সময়ই অভিযোগ উঠেছে যে, নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তবে, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে, যেখানে বিরোধী দলের দাবি ছিল যে, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে।

এবার মণিপুর সীমান্তে পা বাড়াল আরাকান সেনা! উদ্বেগে দিল্লি

রিজভির এই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য একটি বড় সংকেত হতে পারে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো মাঝে মাঝে একে অপরকে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযুক্ত করে, তবে এমন অভিযোগের সঠিকতা পরীক্ষা করা এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জনগণের কাছে পরিষ্কার তথ্য তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এখন দেখার বিষয় হবে, সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই অভিযোগ নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয় এবং দেশের রাজনীতিতে কীভাবে এই বিতর্কের প্রভাব পড়ে।