ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার প্লেন উড়িয়ে ইতিহাস গড়ল চিন, এদিকে এখনও তেজসের ইঞ্জিনের অপেক্ষায় ভারত

Chinese 6th Gen: চিনের পরবর্তী প্রজন্মের ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেট সফলভাবে তার প্রথম ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে (First flight of Chinese 6th-Generation fighter)। বিশ্বে এই প্রথম কোনো…

Chinese 6th-Generation fighter jet

Chinese 6th Gen: চিনের পরবর্তী প্রজন্মের ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেট সফলভাবে তার প্রথম ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে (First flight of Chinese 6th-Generation fighter)। বিশ্বে এই প্রথম কোনো দেশ ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে। এই বিমানটি উড্ডয়নের একটি ভিডিও চিনা সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা হচ্ছে। এটিকে চিনের মহাকাশ সক্ষমতায় একটি বড় মাইলফলক বলে মনে করা হয়। একই সময়ে, ভারত এখনও আমেরিকা থেকে তার প্রথম দেশীয় বিমান তেজসের ইঞ্জিনের জন্য অপেক্ষা করছে। একই সময়ে, ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের AMCA প্রোগ্রাম এখনও শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ।

এই প্লেনটি AI দিয়ে সজ্জিত

   

রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের ৬ষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানটির ডাকনাম দেয়া হয়েছে হোয়াইট এম্পারর। এর সঠিক ক্ষমতা এখনও গোপনীয়, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে এতে অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই উড়োজাহাজটি আগের চেয়ে অনেক বেশি স্টিল, যা শত্রুর রাডারকে পরাস্ত করতে পারে। এটি পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাভিওনিক্স সিস্টেমের সাথে সজ্জিত। এ ছাড়া আরও বলা হচ্ছে, চিনের ৬ষ্ঠ প্রজন্মের বিমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রচুর পরিমাণে ডেটা প্রসেস করতে পারবে এবং বাস্তব সময়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এই বিমানটি ইউএভির সাথে একসাথে কাজ করবে

এই নতুন চিনা ফাইটার এয়ারক্রাফ্টের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর মানহীন এরিয়াল ভেহিকেল (UAV) এর সাথে একসাথে কাজ করার ক্ষমতা। এটি ইউএভি বা ড্রোনের সাথে একযোগে ভবিষ্যতের যুদ্ধে তার প্রাণঘাতী ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে। এতে শত্রুর ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেও চিনকে হতাহতের সম্মুখীন হতে হবে না। এর মাধ্যমে চিন শুধু যুদ্ধে সঠিক তথ্যই পাবে না, স্ট্রাইক মিশন ও প্রতিরক্ষা কাজেও তার সেনাদের ব্যবহার করতে হবে না।

Chinese 6th-Generation fighter jet

হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করবে

চিনের ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার এয়ারক্রাফটের আরেকটি প্রতিশ্রুতিশীল বৈশিষ্ট্য হলো হাইপারসনিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা। হাইপারসনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে চিন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এই ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট এই উচ্চ গতির, দূরপাল্লার অস্ত্র মোতায়েন করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি প্রত্যাশিত যে বিমানটি অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেমে সজ্জিত হবে যা বৃহত্তর রেঞ্জে হুমকি সনাক্ত করতে এবং জড়িত করতে সক্ষম হবে, যা পাইলটকে আধুনিক বিমান যুদ্ধে একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেবে। কিছু বিশেষজ্ঞ আরও অনুমান করেন যে জেটটি ভবিষ্যত ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য সরাসরি শক্তি অস্ত্র বা অন্যান্য প্রতিরক্ষা দ্বারা সজ্জিত হতে পারে।

ভারত এখনও তেজসের ইঞ্জিনের জন্য অপেক্ষা করছে

বিমান তৈরিতে ভারত এখনও তার প্রতিদ্বন্দ্বী চিনের থেকে অনেক পিছিয়ে। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে তেজস যুদ্ধ বিমানের জন্য একটি বড় মাপের অর্ডার দিয়েছে। এর ডেলিভারি মার্চ ২০২৪ সালে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই ফাইটার এয়ারক্রাফটে আমেরিকান কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এর F404-IN20 ইঞ্জিন লাগানোর কথা, কিন্তু এর ডেলিভারি এখনও শুরু হয়নি। এই কারণে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে নতুন তেজস বিমান পেতে বিলম্ব হচ্ছে। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) 83 LCA Mk 1A এর 99টি ইঞ্জিনের জন্য ২০২১ সালের আগস্টে জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।