রাশিয়ার ছোঁড়া মিশাইলে ধ্বংস হয় আজারবাইজান এয়ারলাইন্স, দাবি রিপোর্টে

ক্রিসমাস ডে তে কাতারস্থ আজারবাইজান এয়ারলাইনসের (Azarbaijan Airlines) একটি বিমান কাশতান এর আক্তাউ এর কাছে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল এবং…

Azerbaijan Airlines Plane Shot Down "Accidentally" Report

ক্রিসমাস ডে তে কাতারস্থ আজারবাইজান এয়ারলাইনসের (Azarbaijan Airlines) একটি বিমান কাশতান এর আক্তাউ এর কাছে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল এবং এই দুর্ঘটনায় ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে অন্তত ৩৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৬ জন রাশিয়ান ছিল।

বিমান দুর্ঘটনার পরপরই একটি তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে বেশ কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ, যারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম যেমন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ইউরোনিউজ এবং এএফপি-তে উল্লিখিত, তাদের মতে এই দুর্ঘটনাটি সম্ভবত একটি রাশিয়ান স্যুড়ফেস-টু-এয়ার মিসাইল বা অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ফায়ার দ্বারা “অদূরদৃষ্টির জন্য আঘাতপ্রাপ্ত” হতে পারে। তারা দাবি করেছেন যে বিমানের ডানায় এবং পেছনের অংশে যে গর্ত এবং ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে, তা ক্ষেপণাস্ত্রের শুঁটকি বা শেল শেলদের আঘাতের ফলে হতে পারে। 

   

ভারত-ভূখণ্ডের বিকৃত ম্যাপ কংগ্রেসের, নেপথ্যে জর্জ সরোসের চক্রান্ত, আক্রমণ বিজেপির

বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন যে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের (Azarbaijan Airlines) বিমানটি এমন একটি এলাকায় উড়ছিল, যেখানে ইউক্রেনের ড্রোন কার্যকলাপের খবর পাওয়া গিয়েছিল। গ্রোজনি, যা চেচনিয়া রাজ্যের রাজধানী এবং কিয়েভের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় বছরের যুদ্ধে রয়েছে, সেখানে অনেক পরিমাণ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট অস্ত্র ব্যবস্থা বিদ্যমান। ফলে, ওই এলাকায় বিমান চলাচল নিয়ে সন্দেহ এবং ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

এছাড়া, এই দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা বিমানটির আঘাতের ধরন দেখে মনে করছেন যে এটি কোনো অজ্ঞাত বা অনিচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে দেখা যায়, বিমানটির শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতি হয়েছে, যা অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ফায়ারের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এটি এমন একটি তত্ত্ব, যা পরিস্থিতি থেকে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। 

চিনকে রুখতে দাওয়াই, এবার ভারত মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াবে মিশাইল ডেস্ট্রয়ার INS Surat

তদন্তকারী দল এখন এই দুর্ঘটনার প্রকৃতি এবং এর পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করছে। বিমানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে পৌঁছানোর সময় যদি এমন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে, তবে এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং এটি প্রমাণ করবে যে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ বিমানের জন্য একটি বৃহত্তম ঝুঁকি রয়েছে। যদিও আজারবাইজান এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে কিছু আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তবে রাশিয়ার অংশগ্রহণে এর প্রকৃতি সম্পর্কে কোনো সরাসরি মন্তব্য আসেনি।

RAW আতঙ্কে ভুগছে বাংলাদেশ

এ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা সামরিক ও বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হতে পারে। সবার আগে এটি একটি সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে, যেখানে যুদ্ধের অবস্থা এবং সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের মধ্যে সুরক্ষার বিষয়ে তীব্র মনোযোগ দেওয়া উচিত।