ফের পরাজিত মহামেডান, হতাশ করলেন ভাস্কর

খারাপ সময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের (Mohammedan SC)। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এবার টানা পাঁচটি ম্যাচে পরাজিত হল কলকাতা ময়দানের এই তৃতীয়…

Kerala Blasters vs Mohammedan SC

খারাপ সময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের (Mohammedan SC)। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এবার টানা পাঁচটি ম্যাচে পরাজিত হল কলকাতা ময়দানের এই তৃতীয় প্রধান। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যায় কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আইএসএলের দ্বাদশ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। এদিন দলের হয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন মহামেডান গোলরক্ষক ভাস্কর রায়‌।

পরবর্তীতে কেরালা দলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে যান নোয়া সাদাউ এবং আলেকজান্ডার কোয়েফ। এই জয়ের সুবাদে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে উঠে আসলো কেরালা ব্লাস্টার্স। যারফলে তিন ম্যাচ পর জয়ের খরা কাটাল রাহুল কেপিরা। বলাবাহুল্য, শেষ কয়েকটি ম্যাচে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও ঘরের মাঠের এই ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল গোটা দল। সেইমতো ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক থেকেছে কেরালা। গলির সুযোগ্য এসেছিল একাধিকবার। কিন্তু কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন সাদা-কালো ডিফেন্ডাররা।

   

প্রথমার্ধের শেষে গোলশূন্য ফলাফল থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ বাড়িয়ে গোল তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অ্যালেক্সিস গোমেজদের। কিন্তু সেটা কার্যকরী হয়নি। পঞ্চম কোয়ার্টারের শুরুতেই প্রতিপক্ষের ভাসানো বল ঘুষি মেরে বিপদমুক্ত করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি করতে পারেননি ভাস্কর। যারফলে তাঁর আত্মঘাতী গোলেই এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল আদ্রিয়ান লুনাদের। তারপর সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে কোয়ামি পেপড়াদের।

মাঝে এই তারকা ফুটবলারের হেডে বল জালে জড়ালেও বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। কিন্তু বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৮০ মিনিটের মাথায় নোয়া সাদাউয়ের অনবদ্য হেডে বল চলে যায় গোলের মধ্যে। ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর আরও একবার রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হতে হলেও ব্যবধান বাড়তে ভুল করেননি কোয়েফরা। সেই সুবাদেই এবার ঘরের মাঠে এলো জয়।