মন্দারমনির রিসর্টে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার, সঙ্গী বান্ধবীকে জেরা পুলিশের

পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে এক তৃণমূল নেতার (TMC) রহস্যজনক মৃত্যু ঘটল, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শনিবার সকালে হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় আবুল নাসার…

TMC leader found dead in Mandarmani Police investigation going on.

পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে এক তৃণমূল নেতার (TMC) রহস্যজনক মৃত্যু ঘটল, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শনিবার সকালে হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় আবুল নাসার নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং মৃতের বান্ধবীকে আটক করেছে। খুন না আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি, তবে মৃতের স্ত্রী খুনের অভিযোগ তুলেছেন। 

গত ১০ দিন ধরে মিলছে না পানীয় জল, বিক্ষোভ কুলটির বাসিন্দাদের, দায় ডিবিসির দাবি ইস্কোর

   

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম আবুল নাসার। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে বেড়াতে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মন্দারমণির একটি হোটেলে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। শনিবার সকালে হোটেলের কর্মীরা আবুল নাসারের ঘরটি খোলার পর তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।

অথচ, এই ঘটনার পরেই নতুন করে রহস্য তৈরি হয়। মৃতের স্ত্রী খুনের অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, আবুল নাসার আত্মহত্যা করতে পারেন না, এবং এটি একটি পরিকল্পিত খুন। তিনি বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। যে মহিলা তাঁর সঙ্গে মন্দারমণিতে গিয়েছিল, সে এর পেছনে রয়েছে।” এই অভিযোগের পর পুলিশ অবিলম্বে ওই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

পোস্ট অফিসের লেটার বক্সে সিলবিহীন ৫৫টি পাসপোর্ট, টিটাঘরের ঘটনায় অনুপ্রবেশের আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

পুলিশ এখনো খুন বা আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে যে, হোটেলের ঘরের পরিবেশ দেখে এটি আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে, যে মহিলা সঙ্গে ছিলেন, তিনি পুলিশের কাছে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তার বক্তব্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে, মন্দারমণি এলাকার লোকজন এবং হোটেলের কর্মীদের বক্তব্য, তারা কখনও কোনো অস্বাভাবিক আচরণ বা ঘটনার কথা লক্ষ্য করেনি। তবে, পুলিশ কিছু তথ্য পেয়েছে, যা খুনের সম্ভাবনা জোরালো করছে। তদন্তকারীরা এখন মহিলার ফোন কলের রেকর্ড এবং হোটেল সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন।

সময়সীমা শেষ, শনিবার থেকে শহরে বন্ধ থাকবে জল – আলো

এটি একটি অত্যন্ত রহস্যজনক ঘটনা, যার তদন্ত নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। এলাকার মানুষ এবং পুলিশ সকলেই এই ঘটনার সঠিক কারণ জানতে আগ্রহী। তৃণমূল নেতার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তদন্তের ফলাফল সবার কাছে পরিষ্কার হলে বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে সামনে আসবে।

এখন পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে সত্য উদঘাটনের জন্য এবং সঠিকভাবে ঘটনার কারণ জানার জন্য। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে যথাযথ বিচার দাবি করা হয়েছে।