ভারতের কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তাঁর “এক দেশ, এক নির্বাচন” (One nation one vote) বিলের ওপর দেওয়া মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি কংগ্রেসের অভিযোগের বিরুদ্ধে সাফাই দিয়েছেন, যে দলের পক্ষ থেকে তাঁর মন্তব্যগুলি বিকৃত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিজেপির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে, তিনি কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় পালটা জবাব দেন এবং বলেন যে, তাঁর পদত্যাগ কংগ্রেসের কোন উপকারে আসবে না।
আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা করলে মধ্যরাতের মধ্যে শাহকে বরখাস্ত করুন, মোদীকে চ্যালেঞ্জ খাড়্গের
এদিন তিনি কংগ্রেসের নেতা মালিকার্জুন খড়্গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, “মালিকার্জুন খড়্গে আমার পদত্যাগের দাবি করেছেন, যদি তিনি খুশি হন, তবে আমি সেটা করব। কিন্তু কংগ্রেসের কিছুই বদলাবে না। কংগ্রেস এই অবস্থায় অন্তত ১৫ বছর আরও থাকবে। আমার পদত্যাগ কংগ্রেসের কোন উপকারে আসবে না।”
অমিত শাহ আরও বলেন, কংগ্রেসের নেতারা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করছেন। তিনি জানান, তাঁর মন্তব্যের আসল উদ্দেশ্য ছিল এক দেশ, এক নির্বাচন পদ্ধতির প্রয়োগের গুরুত্ব এবং এই বিষয়ে সাংবিধানিক চিন্তা-ভাবনা, যা ব্রহ্মনার্থিকভাবে ভারতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কার্যকরী হতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আলোচনাকে অন্যরকমভাবে পেশ করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ভারতীয় সংবিধানের স্থপতি ড. বি আর আম্বেদকর একটি শক্তিশালী জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন, তবে তিনি কখনও ভাবেননি যে এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হবে। এই মন্তব্যটি কংগ্রেসের সমালোচকদের কাছ থেকে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, যারা দাবি করছেন যে, অমিত শাহ আম্বেদকরের ভূমিকা ও চিন্তা-ভাবনাকে বিকৃত করেছেন।
ভারত-বিরোধিতায় নিজের বিপদ ডাকল ঢাকা, চট্টগ্রামে ঢুকে পড়ল আরাকান আর্মি
অমিত শাহ আরও যোগ করেন যে, কংগ্রেসের নেতারা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছেন এবং ঐতিহাসিক প্রসঙ্গের অপব্যাখ্যা করছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের নেতারা তাঁর বক্তব্যের বিষয়ে যে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিতর্কের মধ্যেও তিনি আবারও এক দেশ, এক নির্বাচন ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা একযোগে জাতীয় নির্বাচন এবং রাজ্য নির্বাচনের মধ্যকার সমন্বয় তৈরি করতে পারে।
Donald Trump: ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে ঠাঁয় পেলেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত
এমন এক সময়ে যখন ভারতের রাজনীতিতে আলোচনা তীব্র হয়েছে, অমিত শাহ তাঁর প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে উস্কানির বদলে কার্যকরী এবং ভবিষ্যতমুখী চিন্তা ভাবনা সামনে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্যের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বার্তা রয়েছে, যা কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
