বাংলাদেশে ‘পুতুল’ ইউনূস সরকার, মার্কিনি অঙ্গুলিহেলনেই চলছে সংবিধান সংস্কার?

পুরনো রাজনৈতিক ঐতিহ্য ভেঙে পুনর্গঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ক্ষমতায় আসার পর বাতিল করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমেই বাতিল…

Bangladesh care taker govt back Constitution reforms Us backed Ali Riaz heading the comitties

short-samachar

পুরনো রাজনৈতিক ঐতিহ্য ভেঙে পুনর্গঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ক্ষমতায় আসার পর বাতিল করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমেই বাতিল করা হয়েছিল সেই ব্যবস্থাকে। গত অগস্টে জোর করে ক্ষমতা দখলের পর হাসিনার আমলের আইন বাতিল করল ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এবার বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল করল বাংলাদেশ।

   

২০১১ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। যা নিয়ে সেইসময় কম হয়নি জলঘোলা। বিরোধী দল বিএনপি রাস্তায় নেমে যার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন বদলেছে। মৌলবাদী মদতপুষ্ট সরকার সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামিক ব্যবস্থা ও পুরনো কাঠামোকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর। ভোটের জন্য জনপ্রিয়তা কুড়োতে সুরে সুর মিলিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও।

বিচারপতিরা মনে করছেন, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হাইকোর্ট জানায়,সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আদালতের রায়ে ফিরল গণভোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। বর্তমানে নির্বাচনের আগে সংবিধান সংস্কার করতে কমপক্ষে ৬ টি সংস্কার কমিশন বসিয়েছে ঢাকা। যাদের দ্বায়িত্বে রয়েছেন মার্কিন নিবাসী আলি রিয়াজ (Ali Riaz)। তিনি অত্যন্ত মার্কিন ঘনিষ্ট ও মদতপুষ্ট ব্যক্তি। মার্কিন নাগরিক তিনি।

আর এখানেই সন্দেহ বাড়ছে রাজনৈতিক মহলের মধ্যে। কারণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক হিসেবে পরিচিত এই মার্কিন ব্যাক্তিটি উইড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলার্স ও অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের (Atlantic Council) দক্ষিণ এশিয়ার শাখার সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। আর অ্যাটলান্টিক কাউন্সিল (Atlantic Council) একটি মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক। যার উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে মার্কিনি ও ইউরোপীয় স্বার্থকে বাস্তবায়িত করা। অর্থ্যাৎ মার্কিন স্বার্থেই মার্কিন নাগরিককে দিয়ে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করতে চাইছে আমেরিকা। সামনে ইউনূস কেবলই মাত্র তাঁদের ‘পুতুল সরকার’। ঠিক বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে আমেরিকা যেমনটা করে আসে। উদাহরণ, ইরাক, লিবিয়া ও মিশর। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল বাংলাদেশও।

আর এই ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিচারবিভাগ অনেকাংশেই ভীত হয়ে ঝুঁকে রয়েছে জামাতের মতো ইসলামিক সংগঠনগুলির কাছে। এমন অবস্থায় নয়া সংবিধানে হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টানদের নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলেই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল। এমনকী হিন্দু সংখ্যালঘুরা ভোটাধিকার হারাতে পারেন বলেও দাবি আন্তর্জাতিক মহলের।

অন্যদিকে, হিন্দু নির্যাতনের (Hindu Atrocities) জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তারমধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি। কখনও কলকাতা দখল তো কখনও আগরতলা অভিযানের মতো ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে দেশের রাজনৈতিক মহলে জনপ্রিয়তা বাড়াতে চাইছে বিএনপির মতো দলগুলি। এই অকারণে যুদ্ধের জিগির স্বাভাবিক ভাবেই উত্তপ্ত করেছে প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্ক।