কলকাতা: দিন দিন বেড়ে চলেছে মোটা ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার চোরাচালান৷ সীমান্ত পেরিয়ে এই পাঁচ টাকার কয়েন চালান করা হচ্ছে বাংলাদেশে৷ তার পর সেগুলি গলিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ব্লেড৷ যার দাম পাঁচ টাকার বেশি। এই চোরাচালানের জেরে ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতির৷ এই সমস্যা মেটাতে মোটা ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার কয়েন পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
পাঁচ টাকার মুদ্রা বাতিলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে শোরগোল পড়েছে। সত্যিই কি মোটা ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার কয়েক বাতিল করে দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া? কোন পথে এগোচ্ছে সরকার? যদিও সরকারি ভাবে এখনও এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি৷
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাঁচ টাকার মুদ্রা চালু রয়েছে। তবে মোটা ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার মুদ্রার প্রচলন ক্রমেই কমছে৷ এই ধরনের পাঁচ টাকার মুদ্রা নতুন করে বাজারে ছাড়ছে না আরবিআই-ও। তবে পাতলা ধাতুন কয়েনগুলি বাজারে ভালোই চলছে৷
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আরবিআই কর্তা শীর্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘একটি মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রা গলিয়ে পাঁচ থেকে ছ’টি ব্লেড তৈরি করা যেতে পারে৷ প্রতিটির দাম দু’টাকা করে হলে, ১০ থেকে ১২ টাকা উপার্জন হয়৷ ফলে মুদ্রায় ব্যবহৃত ধাতুর অন্তর্নিহিত মূল্য তার আর্থিক মূল্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। সুস্থ অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটা কখনই কাম্য নয়৷ ’’ তাই এই পুরু ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার ব্যবহার বন্ধের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷ তবে পিতল ও অন্যান্য শঙ্কর ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার কয়েন বাতিল নিয়ে এখনই কিছু ভাবছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ এই মুদ্রাগুলি গলিয়ে ব্লেড তৈরি করা যায় না বলেও জানানো হয়েছে৷ ফলে এই মুদ্রগুলির চোরাচালানের প্রবণতাও কম।
তবে পাঁচ টাকার পুরনো কয়েন বাজার থেকে তুলে নিতে হলে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক হবে। সম্ভবত ওই বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷