First Nuclear Submarine Base: ভারতীয় নৌসেনা তাদের পরমাণু সাবমেরিন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। নৌবাহিনী আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটি (First Nuclear Submarine Base) স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এই উন্নয়নকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহিনীর কৌশলগত প্রতিরোধ এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি হিসাবে দেখা হবে। শত্রুর বিরুদ্ধে গভীর সমুদ্রে মোতায়েন করা হবে ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে।
পারমাণবিক সাবমেরিন এবং জাহাজ রাখার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী একটি কৌশলগত নৌ ঘাঁটি তৈরি করছে। এই প্রকল্পের নাম আইএনএস বর্ষা (INS Varsha) যা অন্ধ্রপ্রদেশের রামবিলির উপকূলীয় গ্রামের কাছে নির্মিত হচ্ছে। এটি (New Naval Project) 2025-2026 সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘাঁটি ভারতীয় নৌবাহিনীর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সাবমেরিনগুলির জন্য একটি কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। ভারতের জন্য আসল হুমকি প্রতিবেশী দেশ চিন থেকে, যার বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী রয়েছে। তাই চিন বা অন্য কোনো শত্রুর আক্রমণকে নস্যাৎ করতে পারমাণবিক সাবমেরিন কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
আনুমানিক খরচ 35,000 কোটি টাকা
সম্প্রতি, ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি ঘোষণা করেন যে ভারতের একটি দেশীয় পারমাণবিক সাবমেরিন 2036 সালের মধ্যে চালু হবে এবং দ্বিতীয় পারমাণবিক সাবমেরিনটি আগামী দুই বছরের মধ্যে নৌবাহিনীর কাছে সরবরাহ করা হবে। প্রথম দুটি সাবমেরিন সম্পর্কিত এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় হল 35,000 কোটি টাকা ($4.5 বিলিয়ন)।
নৌ সক্ষমতা বৃদ্ধি
এই টাইমলাইনটি আঞ্চলিক হুমকি অর্থাৎ আইওআর, বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জলের নিচের ক্ষমতা বাড়ানোর একটি বড় প্রচেষ্টা হবে। ভারতের দ্বিতীয় পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাটের সাম্প্রতিক কমিশনিং একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অপারেশনাল মোতায়েনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে এই সাবমেরিন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও করা হয়েছে। যার কারণে ভারতের সেকেন্ড স্ট্রাইকের সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়েছে।
খুব কম ফ্রিকোয়েন্সি (VLF) যোগাযোগ স্টেশন
এছাড়াও, ভারতীয় নৌবাহিনী তেলঙ্গানায় একটি নতুন খুব কম ফ্রিকোয়েন্সি (ভিএলএফ) যোগাযোগ স্টেশন স্থাপন করছে। চ্যালেঞ্জিং সামুদ্রিক পরিবেশে কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য এই সুবিধাটি দীর্ঘ পরিসরে টহল দেওয়ার জন্য পারমাণবিক সাবমেরিনগুলির কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়াবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় নৌসেনা আরও তিনটি স্করপিয়ান শ্রেণীর সাবমেরিনের জন্য চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা তার প্রচলিত জলের নীচে যুদ্ধের ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
ভারতের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন এবং সাবমেরিন প্রযুক্তিতে অগ্রগতি ভারতীয় নৌবাহিনীর কৌশলগত ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে। এই উন্নয়নের মাধ্যমে, ভারত, ভারতীয় মহাসাগরের বাড়তে থাকা বিতর্কিত জলসীমায় তার স্বার্থ সুরক্ষিত করার লক্ষ্য রাখে।