গাজ়িপুর সীমানায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সম্ভলযাত্রা আটকাল পুলিশ, গোটা এলাকাজুড়ে যানজট

রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির (Rahul Gandhi-Priyanka Gandhi)গাজিপুর সীমান্তে পৌঁছানোর পর ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় এবং কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা তৈরি হয়। সোমবার, দিল্লি-Meerut এক্সপ্রেসওয়েতে…

Huge Traffic Jam as Rahul and Priyanka Gandhi Stopped at Delhi-UP Border on Way to Sambhal

রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির (Rahul Gandhi-Priyanka Gandhi)গাজিপুর সীমান্তে পৌঁছানোর পর ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় এবং কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা তৈরি হয়। সোমবার, দিল্লি-Meerut এক্সপ্রেসওয়েতে গাজিপুর সীমান্তে কংগ্রেস কর্মীরা (Rahul Gandhi-Priyanka Gandhi)জমায়েত হওয়ায় পুলিশ বিশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। সেখানে পুলিশের ভারী ব্যারিকেড এবং যানবাহন চেকিং শুরু হয়, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

গাজিপুর সীমান্তে কংগ্রেস কর্মীরা একত্রিত হওয়ার সাথে সাথে প্রবল যানজট সৃষ্টি হয়, যা দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে চলাচল করা যাত্রীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ প্রশাসন সতর্ক থাকলেও, তাদের দিক থেকে তেমন কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়নি যতটা সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

   

ঘটনার বিষয়ে গাজিপুর পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, “আমরা গাজিপুর সীমান্তে একটি গুরুতর জমায়েত হতে দেব না। পুরো এলাকাটি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পুলিশ এখানে নিরাপত্তা(Rahul Gandhi-Priyanka Gandhi) নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে। সন্ত্রাসী বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি যাতে না হয়, সেই উদ্দেশ্যে আমরা গাজিপুর সীমান্তে ব্যারিকেড তৈরি করেছি।”

গাজিপুর পুলিশ জানিয়েছে, রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে সম্বলিত কংগ্রেস দলকে এখানে থামানো হবে এবং তাদেরকে সাম্বাল যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, “আমরা রাহুল গাঁধীকে সাম্বাল যাওয়ার অনুমতি দেব না, কারণ প্রশাসনের তরফে সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।”

রাহুল গান্ধি, যিনি বর্তমানে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা, বুধবার সাম্বাল যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন। সেখানে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং সাম্প্রতিক এক আদালতের নির্দেশনায় মুসলিম মসজিদে দ্বিতীয় সার্ভে নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ ৪ জন মারা গিয়েছিলেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। রাহুল গাঁধী ঐ এলাকায় পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে চান। সেই সাথে তিনি কংগ্রেস দলের পাঁচজন সদস্য সহ প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও এই সফরে যোগ দিতে পারেন।

সাম্বাল এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ১৯ নভেম্বর থেকে। তখনই মুঘল যুগের একটি মসজিদে সার্ভে করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মন্দিরের উপস্থিতির দাবিও উঠে আসে। ২৪ নভেম্বর, দ্বিতীয় সার্ভে করার সময় সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে বহু লোক আহত হয় এবং প্রাণহানিও ঘটে। এতে এলাকাটি থমকে দাঁড়ায় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

গাজিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্বালে রাহুল গান্ধিকে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার কারণ হল সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, “এখানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এবং আমরা তা লঙ্ঘন করতে দেব না। রাহুল গান্ধি এবং তাঁর দলের সদস্যদের গাজিপুর সীমান্তে থামিয়ে দেওয়া হবে, এবং তাদের সাম্বাল যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না।”

গাজিপুর পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে, কোনো অশান্তি বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখানে জমায়েত করা যাবে না।”

রাজনৈতিকভাবে, রাহুল গাঁধীর এই সফর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। সাম্বালে সহিংসতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনাকে সামনে রেখে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। কংগ্রেস দল আশা করছে, রাহুল গাঁধী এই সফরের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন।

গাজিপুর সীমান্তে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা এবং কংগ্রেস কর্মীদের জমায়েতের কারণে সেখানকার যানজট আরো তীব্র হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যাঁরা দিল্লি থেকে মীরাটে যাতায়াত করেন, তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে পড়ে তারা যথেষ্ট বিরক্ত হন। পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।