১৫ নভেম্বরের কসবাকাণ্ডের (Kasba Attempt To Murder) ঘটনায় নয়া মোড়। সেদিন কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়ির সামনে তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিল আততায়ীরা। এবার এই ঘটনায় অর্থাৎ তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও এক ব্যক্তিকে এবার গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বিহারের বৈশালী থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধৃত যুবকটির নাম লক্ষ্মণ শর্মা, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘ছোটু’ নামে পরিচিত। মঙ্গলবার ভোরে, বৈশালী জেলার চাকেয়াজ গ্রাম থেকে কলকাতা পুলিশের এআরএস বিভাগের তদন্তকারীরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। বর্তমানে এই ঘটনায় পুলিশে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা মোট ছয়। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, কসবাকাণ্ডে আটক হওয়া অন্যান্য ব্যক্তিদের জেরায় ছোটুর নাম উঠে আসে।
বিয়ের মরশুমে কতটা হেরফের হল হীরের দামে জানেন?
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই তৃণমূল নেতার হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শীঘ্রই তাঁকে স্থানীয় আদালতে হাজির করে হেফাজতে নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছোটু ওই এলাকারই বাসিন্দা। ঘটনার দিন স্কুটারচালক যুবরাজকে পার্ক সার্কাসের বন্ডেল গেটের কাছ থেকে স্কুটারে তুলে নেন। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার আগে ছোটু গুলজারের সঙ্গে গিয়ে এলাকায় রেকি করেছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ছোটুর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ছোটু স্থানীয় বাসিন্দা হলেও পুলিশ তাঁকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় বিহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকার দাবি ইতিমধ্যেই করেছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, বিহারের এক ব্যক্তির সাহায্যে শুটার ভাড়া করা হয়েছিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।
এই ডিভিশনে একাধিক ট্রেনের চলাচলে পরিবর্তন, যাত্রী ভোগান্তি এড়াতে ঘোষণা রেলের
পুলিশের তদন্তে আরও জানা গেছে যে, বিহার থেকেই খুনের চেষ্টার পরিকল্পনা এবং অস্ত্র সরবরাহের কার্যক্রম চালানো হয়েছিল। একে কেন্দ্র করে তদন্তকারীরা মনে করছেন, কসবাকাণ্ডের পেছনে আরও কিছু ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। পুলিশ এখনও ওই সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এদিকে, কসবাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত যুবরাজ সিংহকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে।
যুবরাজ শুটার হিসেবে অভিযুক্ত ছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। তবে ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর স্কুটারচালক পালিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি পুলিশ সেই স্কুটারচালককেও গ্রেফতার করেছে। সেদিন গুলি চালানোর পর, স্কুটারচালক পালিয়ে গেলেও সুশান্ত এবং তাঁর অনুগামীরা শুটার যুবরাজ সিংহকে ধরে ফেলেন।
বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্টল নয়, প্রদর্শনী বা সভার পরিকল্পনা গিল্ডের
পরে পুলিশ আরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে, যার মধ্যে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ আফরোজ খান (গুলজার), ট্যাক্সিচালক আহমেদ আলি, এবং ঘটনার অপর মূলচক্রী ফুলবাবু ও আলি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত পিস্তল এবং স্কুটারটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। এখনও পর্যন্ত কসবাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজ চলছে এবং পুলিশের দাবি, এই ঘটনার পেছনে আরও কিছু অজানা চক্র সক্রিয় রয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, হত্যার চেষ্টা সফল না হলেও এই ঘটনার মাধ্যমে সুশান্ত ঘোষকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল।
Kasba Attempt To Murder: A new development has emerged in the Kasba attempted murder case from November 15. On that day, assailants tried to shoot TMC Councillor Sushanta Ghosh in front of his house in Kasba. Kolkata Police have now arrested another individual in connection with the case, accusing him of attempting to murder the TMC leader. The arrested person, identified as Laxman Sharma (Chotu), was apprehended from Vaishali, Bihar. This brings the total number of arrests in the case to six. https://ekolkata24.com/