Oscar Bruzon : অঙ্ক মিলছে অস্কারের, ইস্টবেঙ্গল খেলবে প্লে অফ? জানুন

অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) চলতি মরশুমে শুক্রবার নিজেদের ঘরের মাঠে নর্থ ইস্টের (North East United FC) বিরুদ্ধে…

Oscar Bruzon on East Bengal FC Win

অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) চলতি মরশুমে শুক্রবার নিজেদের ঘরের মাঠে নর্থ ইস্টের (North East United FC) বিরুদ্ধে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এর মধ্য দিয়ে সিজনের প্রথম জয় নিশ্চিত করল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC), যা তাঁদের সমর্থকদের জন্য এক দারুণ সুখবর। এই জয়ের পর দলের ফুটবলার থেকে সমর্থক সকলেই আশা দেখছেন প্লে অফ (Play OFF) খেলবেন তাঁদের প্রিয় দল। লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon) দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোন ফর্মুলাতে ইস্টবেঙ্গল সুপার সিক্সে পৌঁছাবে।

   

দলের জয়ের প্রসঙ্গে কী বললেন দেবব্রত সরকার? জানুন

এই ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল ছিল পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে। তবে ম্যাচ জিতেও পরিবর্তন হল না পয়েন্ট টেবিলের। আট ম্যাচ খেলে মাত্র চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শেষেই থাকল মশাল ব্রিগেড। তবে এই ম্যাচে জয় না পাওয়ার ফলে ইস্টবেঙ্গলের জন্য চাপ আরও বাড়ত, কারণ তাঁরা এমন একটি দলের বিরুদ্ধে খেলছিল যারা ভালো ফর্মে ছিল। কিন্তু দলের কোচ অস্কার ব্রুজো নেতৃত্বে এবং ফুটবলারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইস্টবেঙ্গল জয়ের মুখ দেখল।

এই তরুণ গোলরক্ষককে দলে টানল মোহনবাগান

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। তারা শুরুর মুহূর্তগুলোতে বেশ কিছু ভাল আক্রমণ তৈরি করলেও গোল করতে পারছিল না। তবে ২৩ মিনিটে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের হেডে গোলটি আসে। মাদিহ তালালের একটি অসামান্য ক্রস থেকে তিনি দুর্দান্ত এক হেড করে গোলটি করেন, যার ফলে গোটা যুবভারতী স্টেডিয়াম গর্জে ওঠে। লাল-হলুদ সমর্থকদের উল্লাস যেন থামতেই চায়নি। ইস্টবেঙ্গলের এই গোলটি শুধু একটা তিন পয়েন্টের জয় নয়, বরং দলের আত্মবিশ্বাসও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল যে, ইস্টবেঙ্গল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল। বিশেষ করে, নন্দকুমার শেখর এই ম্যাচে খেলতে পারেননি, যাঁকে দল হারানোর পর অনেকেই দুর্ভাগ্য মনে করেছিলেন। কিন্তু কোচ অস্কার ব্রুজো এর মধ্যেও দলের পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। নন্দকুমারের পরিবর্তে পিভি বিষ্ণু মাঠে নেমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, যা প্রশংসিত হয়েছে কোচের কাছ থেকে। অস্কার ব্রুজো জানান, “গত ম্যাচে আমরা দুইটি লাল কার্ড দেখেছিলাম, সেকারণে এই ম্যাচে নন্দ এবং মহেশ খেলতে পারেনি। তবে সেই অভাবটা বিষ্ণুর পারফরম্যান্সে অনেকটা ঢেকে গেছে।”

হকি ইন্ডিয়া লিগে নতুন চ্যালেঞ্জে রানি রাম্পাল

এই জয় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য এক কাঙ্খিত মুহূর্ত। দীর্ঘদিন ধরে তারা দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা শুনছিলেন। বিশেষ করে, দলটি যখন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল এবং তাদের খেলার ধারায় উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না, তখন সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বাড়ছিল। কিন্তু এই জয় তাদের প্রমাণ দিল যে, এখনও ইস্টবেঙ্গল লড়াইয়ে রয়েছে এবং তারা যে কোনো মুহূর্তে বড় জয় তুলে নিতে পারে।

অবশ্য, ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেও ইস্টবেঙ্গল এখনও পয়েন্ট টেবিলের শেষ স্থানেই রয়েছে। তবে এই জয় তাদের আত্মবিশ্বাসকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। দলের কোচ অস্কার এই জয়কে কেবল একটি ম্যাচ জেতা হিসেবে না দেখে, একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে বললেন। তিনি বলেন, “এখন প্রতিটি ম্যাচই আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। পরবর্তী ম্যাচটিও আমাদের জিততেই হবে।” কারণ তাঁর ফর্মুলা অনুযায়ী দলের ১৮ ম্যাচ বাকি থাকতে থাকতেই তিনি যে বলেছিলেন ১০ ম্যাচে জিততে পারলেই সুপার সিক্সে পৌঁছে যাবে ইস্টবেঙ্গল। সেই মতো এখন ১৬ ম্যাচ বাকি, বাকি দুই ম্যাচের মধ্যে একটিতে ড্র এবং অন্য ম্যাচে জয় পেয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে তাঁরা।

ওয়ারউইকশায়ার পারফরম্যান্স ডিরেক্টর থেকে পদত্যাগ গ্যাভিনের

এখন পুরো দল এবং তাঁদের সমর্থকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তারা এই জয়কে আত্মবিশ্বাস হিসেবে ব্যবহার করে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে। কেননা, আইএসএল-এর মতো প্রতিযোগিতায় একটিমাত্র জয় অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।