হাই কোর্টের (High Court) অনুমতিতে (approval) কাশীপুরে দম্পতির ‘টেস্ট টিউব বেবি’ (test tube baby)। স্বামীর বয়সের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের আশা পূর্ণ হয়নি কাশীপুরের এক দম্পতির। তবে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে তাঁরা পেলেন নতুন আশার আলো। শুক্রবার, বিচারপতি অমৃতা সিংহ ওই দম্পতিকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ বা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার কাশীপুরের ওই দম্পতি হাই কোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাঁদের ৩০ বছরের বৈবাহিক জীবনে কোনো সন্তান হয়নি। সন্তান ধারণে অসুবিধা হওয়ায় তাঁরা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চান, তবে স্বাস্থ্য ভবন থেকে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বাস্থ্য ভবন তাদের জানিয়েছিল, আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স ২১ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে, কিন্তু ওই দম্পতির স্বামীর বয়স ৫৮। এ কারণে স্বাস্থ্য ভবন তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করতে অস্বীকার করে।
গত ডিসেম্বর মাসে ‘পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিক’-এ গিয়ে তারা আবেদন করেন। কিন্তু ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বামীর বয়সের কারণে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন। এসময়, কাশীপুরের দম্পতি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন, যাতে তারা এই পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিতে পারেন।
আদালতে মামলার পক্ষে আইনজীবী অচিন জানা সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেল আর্থিকভাবে সক্ষম, তাঁরা সন্তান পালনে যথেষ্ট মানসিকভাবে প্রস্তুত এবং দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাদের বয়স কখনওই বাধা হতে পারে না, এমন দাবি জানান তিনি।
এদিকে, ক্লিনিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী সুমন চক্রবর্তী সওয়াল করেন, আইন অনুযায়ী স্বামীর বয়সের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে কোর্টের কাছে তারা বিশেষ অনুমতির আবেদন করছেন।
সর্বশেষে, বিচারপতি অমৃতা সিংহ মামলার পক্ষে রায় দেন এবং কাশীপুরের দম্পতিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার অনুমতি প্রদান করেন। কোর্টের এই রায়ের পর খুশি কাশীপুরের দম্পতি। তারা তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের আশায় অপেক্ষা করছেন।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে আদালত মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।