আদানি ঘুষ কেলেঙ্কারিতে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া, কী বলল জো বাইডেনের দফতর

গৌতম আদানি (Gautam Adani in bribery case), ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান, সম্প্রতি নিউইয়র্কে একাধিক দুর্নীতি ও প্রতারণা কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এই…

Gautam Adani in bribery case

short-samachar

গৌতম আদানি (Gautam Adani in bribery case), ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান, সম্প্রতি নিউইয়র্কে একাধিক দুর্নীতি ও প্রতারণা কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জিন-পিয়েরে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের স্থিতিশীলতা এবং শক্তিশালী সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের বিতর্কিত বিষয়গুলি সত্ত্বেও, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভবিষ্যতে অটুট থাকবে।

   

গৌতম আদানি (Gautam Adani in bribery case) এবং তার সহযোগী, সহোদর সাগর আদানি (Gautam Adani in bribery case) এবং আদানি গ্রুপের (Gautam Adani in bribery case) বিভিন্ন এক্সিকিউটিভদের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে একটি বহুবিলিয়ন ডলার পরিমাণের ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ভারতের সৌরশক্তি প্রকল্পের জন্য অত্যন্ত লাভজনক চুক্তি পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া।

২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, আদানি (Gautam Adani in bribery case) এবং তার সহযোগীরা ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঘুষ প্রদান করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যা ভারতের সরকারী সৌর শক্তি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও, আদানি (Gautam Adani in bribery case) গ্রিন এনার্জি লিমিটেড এবং আজুর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের মতো কোম্পানিগুলি এই স্কিমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার তোলা এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এই ঘুষের মাধ্যমে আদানি গ্রুপ (Gautam Adani in bribery case) এবং আজুর পাওয়ার নিজেদেরকে ভারত সরকারের সৌর শক্তি প্রকল্পের উপকৃত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাদের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) এবং ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (DOJ)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক খুব শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং আমরা এই বিষয়টি সামলাতে সক্ষম হবো।”

ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কের ওপর এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের মতো কোনো প্রমাণ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে, এবং আমরা যে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও এই সম্পর্কগুলো পরিচালনা করতে সক্ষম হবো।”

আদানি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এগুলোকে “অবৈধ” এবং “বিতর্কিত” বলে বর্ণনা করেছে। গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।” আদানি গ্রুপের শেয়ারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যার ফলে বাজারে ২ লাখ কোটি রুপি এর মূল্য হারিয়েছে।

এছাড়াও, আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ২৩ শতাংশেরও বেশি, যা তাদের আর্থিক অবস্থা এবং সুনামকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। এই ধরণের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিশ্ব বাজারে বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এর কোনো প্রভাব ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ওপর পড়বে না।

এতদূর এগিয়ে, ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক শুধু অর্থনৈতিক বা ব্যবসায়িক সম্পর্ক নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত এবং সামরিক জোটও। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতা রয়েছে, যার মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এবং মহাকাশ গবেষণা অন্তর্ভুক্ত। এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, যা দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন শক্তিশালী করেছে।