বিহারের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র, সন্তোষে গ্ৰুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে বাংলা

বিহারের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) পরবর্তী রাউন্ডে প্রবেশ করল বাংলা। বাংলা ফুটবল দলের জন্য এবারের সিজন শুরু হয়েছে দুরন্ত পারফরম্যান্স দিয়ে।…

Bengal Wins Santosh Trophy Group Stage

বিহারের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) পরবর্তী রাউন্ডে প্রবেশ করল বাংলা। বাংলা ফুটবল দলের জন্য এবারের সিজন শুরু হয়েছে দুরন্ত পারফরম্যান্স দিয়ে। আইলিগ চ্যাম্পিয়ন কোচ সঞ্জয় সেনের তত্ত্বাবধানে বাংলা দল সন্তোষ ট্রফির গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে স্থান করে নিয়েছে। এটি বাংলা ফুটবলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, কারণ এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে বাংলা ফুটবল দল পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

দলের দুরন্ত পারফরম্যান্স
এই সিজনে বাংলা দল নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিল। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই বাংলা দল শক্তিশালী ঝাড়খন্ড দলকে পরাজিত করে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশের মতো শক্তিশালী দলকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে দলের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। সঞ্জয় সেনের কৌশল, পরিকল্পনা এবং দলের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে বাংলা ফুটবল দল এবার সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে প্রবেশ করেছে।

   

গোলশূন্য ড্র এবং পরবর্তী পর্বের যোগ্যতা
বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে বিহারের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে নামেন রবি হাঁসদারা। এই ম্যাচে কোন দলের পক্ষেই গোল করা সম্ভব হয়নি এবং ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। যদিও পয়েন্ট ভাগাভাগি করেও বাংলা দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে, তবুও খেলাধুলার প্রতি আস্থা বাড়ানোর জন্য এই ম্যাচের ফলাফল কিছুটা হতাশাজনক ছিল।

এই গোলশূন্য ড্র ম্যাচটির পরও বাংলার ফুটবল দলের জন্য হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ, এই ম্যাচের মাধ্যমে তারা ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট অর্জন করে, যা তাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। বাংলা দলের জন্য আরও একটি সুখবর হল, তারা এখনও পর্যন্ত কোন গোল হজম করেনি। এই পরিসংখ্যান দলের শক্তি এবং দক্ষতাকে ফুটিয়ে তোলে। গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র থেকে শুরু করে সৌরভ সামন্ত, সবাই নিজেদের কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছেন।

সঞ্জয় সেনের নেতৃত্বে বাংলা দলের উন্নতি
গত কয়েক মৌসুমে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের পারফরম্যান্স তেমন ভালো ছিল না। তবে এবার সঞ্জয় সেনের হাতে দল তুলে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর নেতৃত্বে দল একটি নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে। সঞ্জয় সেন আগেও আইলিগে বাংলা ফুটবলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন, এবং এবারও তিনি সেই একই মনোভাব নিয়ে বাংলা ফুটবলকে সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তার তত্ত্বাবধানে বাংলা দল একে একে সমস্ত শক্তিশালী দলকে হারিয়ে মূল পর্বে পৌঁছেছে, এবং এখন মূল পর্বে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য প্রস্তুত।

বাংলা ফুটবল দলের উন্নতির পিছনে কোচ সঞ্জয় সেনের পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রমের বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি দলের মধ্যে সংগঠনের সাথে সাথে মনোবল বৃদ্ধি করেছেন, যা মাঠে দলের খেলার গুণমান স্পষ্টভাবে দেখায়। খেলা চলাকালীন, তিনি দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে সঠিক দিশা দেখিয়ে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

পরিসংখ্যান ও অন্যান্য দিক
এই ৩ ম্যাচে বাংলার দলের ৭ পয়েন্টে ১১টি গোল করার পাশাপাশি তারা একটিও গোল হজম করেনি। এই সাফল্যের জন্য কোচ সঞ্জয় সেনকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না দলের ফুটবলাররা। সঞ্জয় সেনের তত্ত্বাবধানে বাংলার ফুটবল দল যে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল, দলের প্রতিটি সদস্য তাদের নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।

এখন সঞ্জয় সেন তার দলকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং প্রস্তুত করতে কাজ করছেন। মূল পর্বে সাফল্য লাভের জন্য তিনি আরও কৌশলগত পরিকল্পনা শুরু করেছেন। তার একক প্রচেষ্টায় বাংলা দল যে পরবর্তী স্তরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে, তার জন্য অনেকেই আশা করছেন।

বাংলা দলের পরবর্তী লক্ষ্য
এবার বাংলা দলের লক্ষ্য হল, সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা। সঞ্জয় সেন মনে করেন, এই আত্মবিশ্বাসী দল শীঘ্রই আরও বড় সাফল্য পেতে সক্ষম হবে। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে তাদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া জরুরি, এবং সঞ্জয় সেন তার দলের জন্য একে একে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা ফুটবল দলের এই বিপুল সাফল্য একটি নতুন দিশা নির্দেশ করে, এবং সবুজ-মেরুন ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন যে, বাংলা ফুটবল এবার সত্যিই তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।