কানপুর দেহাতের রুরা রেলস্টেশনে (Rura Railway Station) কয়লা (Coal) বোঝাই ট্রেনে (train) আগুন (Fire), কোনরকমে বড়ো বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হলো। ভারতীয় রেল বিভিন্ন দিক থেকে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। কখনো ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়, আবার কখনো ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় রেলকে নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছিল। এবার ফের একবার ট্রেন দুর্ঘটনার খবর বেরিয়েছে কানপুর দেহাত থেকে। কানপুর দেহাটের রুরা রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি মাল ট্রেনের বগি থেকে আচমকা ধোঁয়া উঠলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কয়লা ভর্তি একটি বগিতে ধোঁয়া দেখে মাল ট্রেনের কর্মী ও স্টেশনের লোকজন ট্রেন থামিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল কানপুর দেহাটের রুরা রেলওয়ে স্টেশনে, সন্ধ্যার সময়। ওই সময় একটি পণ্যবাহী ট্রেন স্টেশনে থামে। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পণ্যবাহী ট্রেনের একটি বগি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে সবাই হতবাক হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে এটি একটি সাধারণ ত্রুটির ঘটনা মনে হলেও পরে জানা যায় যে, বগির ভিতরে থাকা কয়লায় আগুন লেগেছে। ধোঁয়া দেখে প্রথমে ট্রেনের কর্মীরা এবং তারপর স্টেশনের অন্যান্য কর্মীরা ট্রেন থামিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পণ্যবাহী ট্রেনের সপ্তম বগিতে কয়লা ভর্তি ছিল এবং সেখান থেকেই সন্দেহজনকভাবে আগুন ধরে যায়। এ সময় ট্রেনের পাইলট, স্টেশন ইনচার্জ এবং অন্যান্য কর্মীরা দ্রুত সতর্ক হয়ে যান এবং ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিসের কাছে জানিয়ে দেন। তারপর দুটি ফায়ার টেন্ডার ডেকে আগুন নেভানোর কার্যক্রম শুরু হয়। একঘণ্টা ত্রিশ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি ওই ট্রেনটি চলতে থাকত, তবে বাতাসের চাপের কারণে কয়লার আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারত। তবে, ট্রেনটি সঠিক সময়ে থামানোর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। কানপুর গ্রামাঞ্চলে আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় ঘটেনি।
রুরা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশিক কুমার এ ঘটনায় জানান, “এটি একটি বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ঘটনা। কয়লা বোঝাই ট্রেনের সপ্তম বগিতে আগুন ধরে যাওয়ায় পরিস্থিতি খুবই গুরুতর ছিল, তবে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।”
এ ঘটনার পর রুরা স্টেশন দিয়ে যাওয়া অনেক ট্রেন মাঝপথে থেমে যায় এবং কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করে।
অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এবং কর্তৃপক্ষ এটিকে একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে মূল্যায়ন করছে।