Manipur Violence: রাত বাড়ছে উত্তেজনা আরও ছড়াচ্ছে। অগ্নিগর্ভ মণিপুর। জনতার হামলা হলো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো সংঘর্ষে ১১ জন যুবককে ঠান্ডা মাথায় খুন করানো হয়েছে। নিহতরা সবাই কুকি গোষ্ঠীর জঙ্গি বলে সিআরপিএফ ও মণিপুর পুলিশ দাবি করে। তবে কুকি গোষ্ঠীর দাবি সরকার ভুয়ো সংঘর্ষ চালায়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিহতদের দেহ তাদের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গত ১১ নভেম্বর রাজ্যের বাংলাভাষী অধ্যুষিত জেলা জিরিবামে এই ১১ জন নিহত হয়। দেহগুলি ময়নাতদন্তের পর শনিবার অসমের শিলচর থেকে মণিপুরে আনা হয়। এর পরই নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়েছে মণিপুর। মুখ্যমন্ত্রীর পৈত্রিক বাড়িতে হামলায় জড়িত বিক্ষোভকারীরা বলছেন সঠিক তদন্ত দরকার।
জিরিবাম জেলার বোকোবেরা এলাকার মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা ও তিন শিশু, যাদের মধ্যে একজন ছিল মাত্র আট মাসের শিশু, কুকি বিদ্রোহীদের দ্বারা অপহৃত হয়। একটি দল সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকাকালীন অন্য একটি দল মহিলাদের এবং শিশুদের অপহরণ করে। পরে, অপহৃত ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত এই ছয় জনের দেহ ঘিরেও বিক্ষোভ চরমে।
বিজেপি শাসিত একাধিক বিধায়কের বাড়ি আক্রান্ত। বিরোধী কংগ্রেসের কটাক্ষ, রাজ্যে শান্তি ফিরেছে দাবি করেও কেন আসছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী? গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত চলেছে। হিন্দু মেইতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং খ্রিস্টান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সংঘর্ষের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। শতশত নিহত।
হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামাল দিতে ইম্ফল পশ্চিম জেলার প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং, কাংপোকপি এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায় ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।