ভারতের মতো কানাডার জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকাও, সীমান্তে বসছে প্রহরা

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের (United States) মধ্যে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও এই বিষয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে, সন্ত্রাসীরা কানাডার সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ…

US also worried about terror risks from Canada

short-samachar

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের (United States) মধ্যে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও এই বিষয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে, সন্ত্রাসীরা কানাডার সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারে, এই উদ্বেগ তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মনোনীত বর্ডার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টম হোম্যান। তার বক্তব্যে স্পষ্টতই কানাডাকে (Canada) উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে যে, দেশটির উচিত “সন্ত্রাসীদের জন্য গেটওয়ে” হয়ে না ওঠা।   

   

BCG’র রিপোর্টে চাঞ্চল্য, ব্যাপক হারে বাড়ছে AI, বিশ্বে সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী দেশ ভারত

টম হোম্যানের মতে, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই সুরক্ষার ক্ষেত্রে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার আশঙ্কা ইতোমধ্যেই ঘটেছে বলে তার বক্তব্যে প্রকাশ পায়। তিনি আরও বলেন যে, কানাডা গত এক দশক ধরে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় সুরক্ষা ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।

এই উদ্বেগ বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাডার কুইবেকে এক পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে ইহুদি সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কানাডার গ্লোবাল নিউজ এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে, যা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের সুরক্ষা বিষয়ে আরও গভীরতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। 

মোদিজি কোনওদিন সংবিধান পড়েননি, আক্রমণ রাহুলের

টম হোম্যান সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ, তবে তার সীমানা নিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত থেকে আসছে। আমাদের জন্য এটা বড় ঝুঁকি কারণ যদি সন্ত্রাসীরা এই দুর্বল সীমানা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তবে আমরা আর নিরাপদ থাকব না।”

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন ধরেই কানাডার সীমানার নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। অনেকেই মনে করছেন, কানাডার সীমান্ত নিরাপত্তার ওপর আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে সন্ত্রাসীরা সহজেই এই পথ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রবেশের আশঙ্কা। কানাডার সীমানা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ প্রবেশ করার ঘটনাও কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈধ অভিবাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষা বাড়ানোর প্রয়োজন।

কানাডার সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে অনেকেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সীমান্ত সুরক্ষা বাড়ানো ছাড়া এই ধরনের ঝুঁকি কমানো সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে আরো কড়া নজরদারি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।

অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেটে অ্যাম্বুল্যান্সে বিস্ফোরণ, চালকের বুদ্ধিতে রক্ষা মা-নবজাতকের

অনেকের মতে, কানাডার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল। কানাডার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় টেকনোলজি এবং সম্পদের অভাবেই মূলত এই দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। আর এর ফলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসন এবং সন্ত্রাসী প্রবেশ ঠেকাতে কানাডা সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।

সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করতে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দু’দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করা হলে সীমান্তের নিরাপত্তা বেড়ে যাবে। সন্ত্রাসী প্রবেশ ঠেকানোর জন্য আরও উচ্চ মানের নিরাপত্তা প্রযুক্তি ও তদারকি ব্যবস্থা প্রয়োজন। এছাড়া, সীমান্তে নিয়মিত পুলিশ এবং বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করে নজরদারি বাড়ানো উচিত।