পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা, মঙ্গলে জিটিএ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক

সোমবার ১৩ নভেম্বর, পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এই সফরের (tour) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দার্জিলিংয়ের জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি পর্যালোচনা…

Mamata Banerjee

সোমবার ১৩ নভেম্বর, পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এই সফরের (tour) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দার্জিলিংয়ের জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি পর্যালোচনা করা। কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন এবং সেখান থেকে সড়কপথে দার্জিলিং যাবেন। তবে আজ তাঁর কোনও কর্মসূচি নেই। তিনি আগামীকাল ১৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টেয় দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA) সদস্যদের (members) সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন।

জিটিএ’র সঙ্গে বৈঠক: পাহাড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আলোচনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে পাহাড়ের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবেন, সেই বিষয়ে জিটিএ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। বৈঠকটির দিকে রাজনৈতিক মহলে বিশেষ নজর রয়েছে, কারণ সেখানে নতুন কোনো নির্দেশনা আসতে পারে যা পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারের পরিকল্পনাগুলি কীভাবে আরও কার্যকরী হবে, তাও উঠে আসবে বৈঠকে।

   

সরস মেলার উদ্বোধন: দার্জিলিং চৌরাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী
আগামী বুধবার, ১৫ নভেম্বর, দুপুর ৩টেয় দার্জিলিং চৌরাস্তায় ‘সরস মেলা’ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মেলা মূলত পাহাড়ের বিভিন্ন হস্তশিল্প, কৃষিপণ্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতির পণ্য তুলে ধরবে। মেলা উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন পাহাড়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানাবেন, তেমনি পাহাড়ি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিশা খুলে দেবেন। এতে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ফেরার পরিকল্পনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ১৪ নভেম্বরের পর শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ফিরে আসবেন। তাঁর সফর শেষে ১৫ নভেম্বর বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজারহাটে আদিবাসী ভবনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সমাজের উন্নয়ন ও তাদের অধিকার সংরক্ষণের প্রতি তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

এই দুই দিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা পাহাড়ের মানুষের সমস্যা এবং সম্ভাবনা বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন, যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আগামী পরিকল্পনাগুলিকে আরও কার্যকরী করতে সহায়তা করবে।