মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের (US elections) ভোট গণনা শুরু হয়েছে, এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ২৩টি রাজ্যে এগিয়ে আছেন, যেখানে কমলা হ্যারিস এগিয়েছেন ১১টি রাজ্যে। নির্বাচনী কলেজের ভোটের সংখ্যা, যা নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে, তাতে ট্রাম্প ২৩০ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন এবং হ্যারিসের ঝুলিতে রয়েছে ২১০ ভোট। উভয় প্রার্থীই ২৭০টি ভোটের মাইলফলক ছুঁতে চাইছেন, যা তাদের জয় নিশ্চিত করবে।
এই পূর্বাভাসগুলো মূলত ঐতিহাসিকভাবে নির্দিষ্ট দলের প্রতি আনুগত্য দেখানো রাজ্যগুলো থেকে এসেছে। এগুলোতে সাধারণত ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান দল প্রাধান্য পায়। তবে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সুইং বা ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি, যা এই নির্বাচনের মূল সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমান প্রবণতা বলছে, ট্রাম্প সাতটির মধ্যে ছয়টি সুইং রাজ্যে এগিয়ে আছেন, যা তাকে এগিয়ে রাখছে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে।
এই সাতটি সুইং রাজ্য হল পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, উত্তর ক্যারোলিনা এবং উইসকনসিন। এই রাজ্যগুলির ফলাফলই নির্ধারণ করবে কে হবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং নির্বাচন পূর্বদিন পর্যন্তও উভয় প্রার্থী প্রায় সমানে সমান অবস্থানে ছিলেন।
বের হওয়া এক্সিট পোল অনুসারে, আমেরিকান ভোটারদের কাছে গণতন্ত্রের অবস্থা, অর্থনীতি এবং গর্ভপাত ইস্যুগুলো ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সিবিএস নিউজের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্রের অবস্থা তাদের কাছে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করেছেন। পাঁচ শতাংশ ভোটার গর্ভপাতকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রতি দশজনে একজন। সিএনএন-এর এক্সিট পোল অনুসারে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার বর্তমান মার্কিন পরিস্থিতি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ অসন্তুষ্ট এবং প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের ফলাফল পুরো বিশ্বের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোর ফলাফলের জন্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে অপেক্ষা করছেন সকলেই।