‘অভয়া মঞ্চ’-এ (Abhaya Mancha) ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’ কর্মসূচি (Movement), সোমে বিচারের (Justice) দাবিতে কলেজ স্ট্রিটে আন্দোলন। আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে ৮০টিরও বেশি সংগঠন একত্রিত হয়ে ‘অভয়া মঞ্চ’ গঠন করেছে। এই সংগঠন মূলত নির্যাতিতার পক্ষে সোচ্চার হয়ে এবং রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ‘অভয়া মঞ্চ’ কর্মসূচির অধীনে একটি মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে, যা পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত আয়োজিত হয়।
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিচার শুরুর অপেক্ষা, আরজি কর-কাণ্ডে চার্জ গঠন হবে সোমবার
গত বুধবার এই মিছিলের সূচনা হয় ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’ শিরোনামে, যেখানে সংগঠনগুলোর সদস্যরা মশাল হাতে নির্যাতিতার পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। মিছিলে অংশগ্রহণকারী সবাই একতাবদ্ধভাবে এই দাবি সামনে রেখে উচ্চারণ করেছেন, “আমাদের দাবি মানতেই হবে!”।
৪ নভেম্বর কলেজ স্ট্রিট চত্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘অভয়া মঞ্চ’-এর পরবর্তী কর্মসূচি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত, তারা ঘরে ঘরে এবং পাড়ায় পাড়ায় ন্যায়বিচারের দাবিতে একটি প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই প্রচারের মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চান, যাতে সবাই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে।
সোমে আবহাওয়ার পরিবর্তন,কমছে পারদ,থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস
‘অভয়া মঞ্চ’-এর সদস্যরা জানিয়েছেন, এর পর আগামী ৯ নভেম্বর রানি রাসমণি রোডে একটি জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছেন, যা এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথকে সুগম করবে।
আন্দোলনের উদ্যোক্তারা বলছেন, “আমরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি এবং তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সর্বদা সোচ্চার থাকব।” এই পরিস্থিতিতে, সকলের একযোগে আন্দোলন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তারা। ‘অভয়া মঞ্চ’ তাদের স্লোগানে বারবার জানাচ্ছেন, “দ্রোহের আলো জ্বালো”।
হতবাক চিকিৎসক, কিশোরের পেট থেকে মিলল ঘড়ির ব্যাটারি, ব্লেড সহ ৫৬ টি ধাতু
এমন একটি আন্দোলন যে শুধু নির্যাতিতার জন্যই নয়, বরং সমাজের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় বার্তা দেয়, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ‘অভয়া মঞ্চ’ এই আন্দোলনের মাধ্যমে এক নতুন আশা এবং প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। সকলের দৃষ্টি এখন এই কর্মসূচির দিকে, যে কর্মসূচি শুধু একটি ঘটনা নয়, বরং একটি বৃহত্তর পরিবর্তনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে।