একই লাইনে দুটি ট্রেন, আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফ যাত্রীদের

একই লাইনে দুটি ট্রেন (Train), আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফ (Jump) যাত্রীদের (Passengers)। বর্ধমান জেলায় একই ট্র্যাকে দুটি ট্রেন মুখোমুখি। ট্রেন দুটিকে সামনাসামনি দেখে যাত্রীরা ভয়…

Train Passengers Jump

short-samachar

একই লাইনে দুটি ট্রেন (Train), আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফ (Jump) যাত্রীদের (Passengers)। বর্ধমান জেলায় একই ট্র্যাকে দুটি ট্রেন মুখোমুখি। ট্রেন দুটিকে সামনাসামনি দেখে যাত্রীরা ভয় পেয়ে যান এবং ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গে এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন যাত্রী ট্রেনের ট্র্যাকে পড়ে যান। এই গাফিলতির কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে লোকো পাইলটের বুদ্ধিমত্তার কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বলা হচ্ছে, পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল। এ কারণে মুখোমুখি চলে আসে দুইটি ট্রেন।

   

বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া বর্ধমান কর্ডলাইনে ঝাপানডাঙ্গা স্টেশনের সামনে একটি মালগাড়ি দাড়িয়ে ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই হাওড়া থেকে বোলপুরগামী শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস (12337) ওই ট্র্যাকে পৌঁছে যায়। এ ঘটনা দেখে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে ট্রেনের ট্র্যাকেও পড়ে যান কয়েকজন।

ট্রেন যাত্রীদের বক্তব্য, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাওড়া বর্ধমান কর্ডলাইনে মালগাড়ি থেকে অনেক দূরে থামে। ট্রেনটি মাঝপথে থামলে এবং সামনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীরা জানান, লোকো পাইলটের বুদ্ধিমত্তার কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ঝাপানডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই মালগাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এদিকে পিছন থেকে আসা শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস থেমে যায়। কারণ এখন ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেমে চলে রেলে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা সিগন্যাল ডিস্টার্ব নেই। স্টেশন মাস্টার জানান, পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস সিগন্যাল না পেয়ে পেছনে থামে।