ভারত-চীন সীমান্তে (India-China Border) সৈন্যদের (soldiers) সঙ্গে দীপাবলি (Diwali) উদযাপন (celebration) করবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে দুদিনের সফরে বুধবার (৩০ অক্টোবর) তাওয়াং গেছেন। সেখানে তিনি ভারত-চীন সীমান্তে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন। দুই দিনের সফরে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং তাওয়াং-এ সাহসী ভারতীয় সেনা অফিসার মেজর রালেংনাও বব খাটিং-এর স্মৃতিতে নির্মিত একটি জাদুঘরও উদ্বোধন করবেন। এই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে, দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন স্থানে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন। আসলে, এই ঐতিহ্যটি শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করছেন।
তথ্য অনুসারে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান আন্দামান ও নিকোবরে মোতায়েন সৈন্যদের সঙ্গে উত্সব উদযাপন করতে উপস্থিত থাকবেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী গুজরাটের পোরবন্দরে নৌবাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন, অন্যদিকে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং জম্মু ও কাশ্মীরে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দীপাবলিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি সিয়াচেনে গিয়েছিলেন, পরের বছর তিনি পাঞ্জাবের অমৃতসরে ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি হিমাচল প্রদেশের কিন্নর, ২০১৭ সালে গুরেজ সেক্টরে (জম্মু ও কাশ্মীর) এবং ২০১৮ সালে উত্তরাখণ্ডের হারসিলে যান। ২০১৯ সালে, প্রধানমন্ত্রী আবার জম্মু ও কাশ্মীরে আসেন। পরের বছর ২০২০ সালে, তিনি রাজস্থানের লঙ্গেওয়ালায় ছিলেন এবং ২০২১ সালে তিনি আবার জম্মু ও কাশ্মীরে (নওশেরা) আসেন। তিনি লাদাখের কার্গিল এবং হিমাচল প্রদেশের লেপচায় সৈন্যদের সঙ্গে পরবর্তী দুটি দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন।