চলতি মরসুমের শুরু থেকেই দারুন ছন্দে রয়েছে এফসি গোয়া (FC Goa)। গত বছর অনবদ্য লড়াই করলে চূড়ান্ত সাফল্য পেতে ব্যর্থ ছিল এই ফুটবল ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সমর্থকদের। কিন্তু সেই হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোই অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই হেভিওয়েট ফুটবল ক্লাবের। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার বান্দোতকার মেমোরিয়াল ট্রফি এসেছে তাঁদের ঘরে। দলের এই সাফল্য যথেষ্ট খুশি করেছে গোয়ান ফুটবলপ্রেমীদের। তবে সেখানেই শেষ নয়। এই সিজনে ইন্ডিয়ান সুপার লিগকে পাখির চোখ করেছেন গোয়ার বর্তমান কোচ মানোলো মার্কুয়েজ।
কিন্তু শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচেই পরাজিত হতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে কোনও রকমে ড্র করলেও ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করে প্রথম জয় ছিনিয়ে নেয় আর্মান্দো সাদিকুরদের এফসি গোয়া। তারপর থেকে বেশ কয়েক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট হয়েছে এই ফুটবল ক্লাবের। যারফলে বর্তমানে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে নেমে এসেছে ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজরা। গত বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসির মুখোমুখি হয়েছিল গোয়া ব্রিগেড।
সেখানে একটা সময় পিছিয়ে থাকতে হলেও পরবর্তীতে ম্যাচে ফিরে এগিয়ে গিয়েছিল দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিমা চুকুর গোলে সমতায় ফিরে আসে ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসি। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে মানোলোর ছেলেদের। সূচি অনুযায়ী আগামী ২রা নভেম্বর নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে গোয়া। যেখানে তাঁদের নিজেদের ঘরের মাঠে লড়াই করতে হবে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে। আসন্ন এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করাই অন্যতম লক্ষ্য সকলের। কিন্তু এক্ষেত্রে চিন্তায় রাখছে বোরহা হেরেরা এবং রাওলিন বর্জেসের চোট।
উল্লেখ্য, গত চেন্নাইয়িন ম্যাচ খেলতে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন লাল-হলুদের এই প্রাক্তন তারকা। সেই প্রসঙ্গে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মানোলো মার্কুয়েজ বলেন, ” বোরহা হেরেরাকে প্রথম একাদশে রেখেই আমরা মাঠে নামতে পছন্দ করি। কিন্তু তাঁর চোট এসেছে। বিশেষ করে তাঁর পেশির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত আমরা তাঁর চোটের পরিস্থিতি জানি না। তবে অনুমান করা যেতে পারে যে এক সপ্তাহ বা এক মাস হতে পারে। আমি মনে করি এই ইনজুরি হল ফুটবলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয়। ” যারফলে আদৌ তিনি কবে মাঠে নামতে পারবেন, সেটাই দেখার।