Bangladesh Crisis: গণবিক্ষোভে ভয়ে কাঁপছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বঙ্গভবনের সামনে বিস্ফোরণ

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে বাংলাদেশে তীব্র উত্তেজনা। রাজধানী ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রপতি নিবাস বঙ্গভবন দখল করতে মরিয়া বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে সেনাবাহিনী নেমেছে। তবে পুলিশ ও সেনাকেই ঘিরে…

Bangladesh1 Bangladesh Crisis: গণবিক্ষোভে ভয়ে কাঁপছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বঙ্গভবনের সামনে বিস্ফোরণ

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে বাংলাদেশে তীব্র উত্তেজনা। রাজধানী ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রপতি নিবাস বঙ্গভবন দখল করতে মরিয়া বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে সেনাবাহিনী নেমেছে। তবে পুলিশ ও সেনাকেই ঘিরে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। হাজার হাজার জনতার ঘেরাটোপে (Bangladesh Crisis) প্রাণভয়ে ভীত রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুউদ্দিন। বিক্ষোভের মাঝে হলো বিস্ফোরণ!

রাষ্ট্রপতিকে অবিলম্বে পদচ্যুত করতে হবে এমনই দাবি বিক্ষোভকারীদের। এই বিক্ষোভের কারণ, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, দেশত্যাগের আগে শেখ হাসিনা তাঁর পদত্যাগ পত্র দিয়ে যাননি। রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা যে ইস্তফা দিয়েছেন সেরকম কোনও লিখিত প্রমাণ নেই। গত ৫ আগস্ট সরকার বিরোধী রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশত্যাগ করার পরেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ লুট করেছিল বিক্ষোভকারীরা। এবার বিক্ষোভকারীদের ঘেরাটোপে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ‘বঙ্গভবন’।

   

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনাকে ফের বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। শেখ হাসিনা যে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছিলেন সেটি আগেই জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

বিবিসি জানাচ্ছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারকে শপথ গ্রহণ করান রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। তাঁর নির্দেশে সর্বশেষ নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে।

দৈনিক মানবজমিন জানাচ্ছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই বলে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছিলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ তাঁর কাছে নেই।

দৈনিক ইত্তেফাক জানাচ্ছে, ‘মানবজমিন’ সংবাদপত্রে রাষ্ট্রপতির ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হতেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই এমন বলে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করছেন।

বিতর্ক তীব্র হয়। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের নেতৃত্ব দাবি করেন, অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাই। এই সংগঠনই গত জুলাই আগস্ট মাসে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

রক্তাক্ত সেই বিক্ষোভ দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিক্ষোভে কমপক্ষে দেড় হাজার নিহত বলে অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে। শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বিচার চলছে। বাংলাদেশে দাবি উঠেছে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে এনে বিচার করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।