মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য হল কানহা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র প্রকল্প (Kanha Jungle Safari)। ১৯৫৫ সালে কানহা জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয় ও ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় টাইগার রিজার্ভ। অরণ্যে সাফারি করলে দেখতে পাবেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড, শ্লথ বিয়ার, বারাশিঙ্গা, সোয়াম্প ডিয়ার, গাউর ও বন্য কুকুর। এছাড়াও অরণ্যের আনাচে কানাচে শুনতে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের পাখির ডাক, দেখতে পাওয়া যাবে সাপ। ভারতের অন্য যেকোনও অভয়ারণ্যের তুলনায় কানহায় বাঘ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সাফারি জোনগুলি হল কিসলি, কানহা, মুক্কি ও শেরহি। কেবল বুধবার বিকেলের সাফারি বন্ধ থাকে। এছাড়াও আছে গভীর জঙ্গলে আছে রোমাঞ্চকর হাতি সাফারি।
কীভাবে যাবেন:
কানহার দুটি মূল প্রবেশদ্বার হল খাটিয়া ও মুক্তি। খাটিয়ার নিকটতম রেলস্টেশন জব্বলপুর। জব্বলপুর থেকে সরাসরি বাস পাওয়া যায়। সময় লাগবে পাঁচ ঘন্টা।
কোথায় থাকবেন:
কসলিতে বাঘিরা জঙ্গল রিসর্ট (০৭৬৪৯২৭৭২২৭/২৭৭২১১) এ সি টু বেড রুমের ভাড়া ৫৮৮৮ টাকা প্রতি রাতে (ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারের খরচ ধরা আছে)।
মুক্কিতে কানহা সাফারি লজ (০৭৬৩৬২৯০৭১৫) এ সি টু বেড রুমের ভাড়া ৪৭০০ টাকা প্রতি রাতে (ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারের খরচ ধরা আছে)।
চন্দন মোটেল (বুকিং ৯৮৩০১৫২১৬৯) ভাড়া ১৪০০-১৮০০ টাকা প্রতি রাতে।
কী খাবেন কোথায় খাবেনঃ
কমলেশ ধাবা (০৯৪২৫৮৫৫৩৮৩) খাটিয়া গেটে অবস্থিত সবথেকে পুরানাে ধাবাগুলির মধ্যে অন্যতম। জঙ্গল সাফারি সেরে চলে আসুন এখানে। অর্ডার করুন চিকেন কারি, চাপাটি অথবা বিভিন্ন ধরণের সবজি। এছাড়াও আপনারা টেস্ট করে দেখতে পারেন এখানকার ডাল বাফলা, বিরিয়ানি, ভুট্টে কি কিজ, কোরমা, লোহা, রোগান যোশ, জিলাবি, লস্যি।
জেনে রাখুন:
কানহার চারটি কোর জোনের মধ্যে কিসলি ও মুক্তি জোনে বাঘ দেখতে পওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। জঙ্গল সাফারির জন্য লগ অন করুন www.forest.mponline.gov.in ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করুন ০৭৫৫৪০১৯৪০০ নম্বরে।