অবশেষে আমরণ অনশন প্রত্যাহার জুনিয়ার চিকিৎসকেদের

ধর্মতলায় ১৭ দিন টানা অনশন করার পর প্রত্যাহার করলেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা (Junior Doctor)৷ সোমবার রাতেই তিলোত্তমার বাবা মা আসেন ধর্মতলায় আমরণ অনশন মঞ্চে৷ সেখানে এসে…

Junior doctors 3-day deadline

ধর্মতলায় ১৭ দিন টানা অনশন করার পর প্রত্যাহার করলেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা (Junior Doctor)৷

সোমবার রাতেই তিলোত্তমার বাবা মা আসেন ধর্মতলায় আমরণ অনশন মঞ্চে৷ সেখানে এসে অনশন কারীদের কাছে অনশন প্রত্যাহারের কথা বলেন৷  তিলোত্তমার বাবা-মা জানান, তাঁরা সন্তান হারিয়েছেন, তাই যারা আমরণ অনশন করছেন তাঁরা যেন এই অনশন প্রত্যাহার করে নেন৷  এরপরই জুনিয়ার চিকিৎসকেরা নিজেদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তাঁরা আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন৷

   

আজ বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা৷ প্রথমেই জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের বিভিন্ন দাবিগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বলতে শুরু করেছেন। এই বৈঠকে দেবাশিস বলেছেন, আরজি কর-কাণ্ড হয়েছে প্রতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণে। সেইসঙ্গে স্টেট টাস্ক ফোর্সে চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সেই বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাচ্ছেন, “স্টেট লেভেল ও কলেজ লেভেলে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকতে হবে।

নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের লিখিত আশ্বাস চাই।” যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। থ্রেট কালচারের অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য কমিটি তৈরী করার দাবি। এর পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা এখন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, “মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ নেই।

থ্রেট কালচারের পাশাপাশি সেখানে চলে যৌন হেনস্থা। অভিযোগ জানানোর মতো একটা জায়গা সেখানে তৈরী করা হোক।” আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু চিঠি বেরিয়েছে।” পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা মানুষ অভিযুক্ত কিনা, প্রমাণ না পেলে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না।” এদিকে মুখ্যসচিব বলেন, “ইতিমধ্যে অনেক কাজ এগিয়েছে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে যাতে নিরাপদ পরিবেশ থাকে, তা আমাদেরও চেষ্টা। আমরা স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স করেছি। ইমেল আইডি দিয়েছি, যেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন।”