LAC বরাবর টহল দিতে ঐক্যমতে ভারত ও চিন

India China Border Dispute: চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে বড় তথ্য দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি (Foreign Secretary Vikram Misri)।…

indian chinese army LAC বরাবর টহল দিতে ঐক্যমতে ভারত ও চিন

India China Border Dispute: চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে বড় তথ্য দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি (Foreign Secretary Vikram Misri)। তিনি জানিয়েছেন যে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিরোধ ইস্যুতে ভারত ও চিনের আলোচকরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ করছেন। LAC-তে টহল দেওয়ার বিষয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চিনের সঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। টহল দেওয়ার বিষয়ে একমত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমেছে। ডেপসাং এবং ডেমচোকে বিচ্ছিন্নতা থাকবে। অর্থাৎ দুই দেশের সেনাবাহিনীই তাদের পুরনো অবস্থানে চলে যাবে। এছাড়াও এখানে টহল শুরু হবে।

বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন যে এলএসির বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। চিনের সঙ্গে বিদ্যমান অনেক সমস্যারও সমাধান হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের তথ্যও দেন। এতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের পাশাপাশি নতুন সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান মিসরি।

   

ব্রিক্স সম্মেলন শুরু হবে 22 অক্টোবর। প্রথম দিনে নেতাদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। সম্মেলনের প্রধান দিন 23 অক্টোবর। দুটি প্রধান অধিবেশন হবে। সকালের অধিবেশনের পর বিকেলে সম্মেলনের মূল বিষয়ের ওপর একটি উন্মুক্ত অধিবেশন হবে। নেতারা কাজান ঘোষণাপত্রও গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা ব্রিকসের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করবে। 24 অক্টোবর শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবে।

 

ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাশিয়ার কাজান শহরে যাওয়ার একদিন আগে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের এই তথ্য এসেছে। ব্রিক্স সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করতে পারেন। এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া হয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে যে ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করতে যাওয়া কয়েকজন ভারতীয় সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। তিনি বলেন, আমাদের দূতাবাসের আধিকারিকরা এই বিষয়ে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন যারা অবৈধভাবে বা অন্য কোনো উপায়ে রুশ সেনাবাহিনীতে যুদ্ধের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রায় 85 জন রাশিয়া থেকে ফিরে এসেছেন। প্রায় 20 জন বাকি আছে।