কৃষ্ণনগরে তরুণী হত্যার ঘটনায় কোন কোন ধারায় মামলা রুজু

কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) শহরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের (murder) পাশাপাশি গণধর্ষণের ধারাও যুক্ত করল পুলিশ। ঘটনায় সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দু’জনকে প্রথমে…

Krishnanagar murder

কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) শহরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের (murder) পাশাপাশি গণধর্ষণের ধারাও যুক্ত করল পুলিশ। ঘটনায় সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দু’জনকে প্রথমে আটক করা হয়। সন্ধ্যায় আরও একজন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে পুলিশের উপর আস্তা হারিয়েছে পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কল্যাণী এমস হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে মৃত তরুণীর ময়নাতদন্ত।

সূত্রের খবর, ধৃত যুবক তরুণীর পরিচিত ছিল। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না তার তদন্ত হচ্ছে। যদিও নিহত তরুণীর মা এর দাবি ধৃত যুবক এর সঙ্গে গত ৬ মাস আগে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ লক্ষ্মী পুজোর বাজার করতে যায় দ্বাদশ শ্রেণীর ওই পড়ুয়া। এর পর তাঁর মা কে ফোন করে জানায় রাস্তার ধৃত ওই যুবকের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। এর পর রাত বাড়লে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পুলিশের দারস্ত হন পরিবার।

   

ভোরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পুজো মণ্ডপের পাশেই ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এসপি অফিস, বিএলআরও অফিস। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয় মেয়েটিকে। তাঁকে যাতে কেউ চিনতে পারে তার জন্য পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম রাহুল বসু।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার কে অমরনাথ বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাসিড না অন্য রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছিল, তা জানতে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে।’

ঘটনায় খুন, গণধর্ষণ-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মৃতের ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। যেখানে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী। তোমরা ভালো থেকো।’ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্তে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কেন খুন? ঠিক কী ভাবে খুন করা হয়েছে? ধর্ষণই বা কোথায়, কখন হয়েছে? তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।পুলিশ সুপার বলেন ঠিক কী হয়েছে তা জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন।