৩০ বছর আগে মৃত ব্যক্তির ৩ লক্ষ টাকা ঋণ, খবর জানতে মাথায় হাত পরিবারের

৩০ বছর আগে মৃত ব্যক্তির ৩ লক্ষ টাকা ঋণ (3 lakh rupees loan), খবর জানতে মাথায় হাত পরিবারের। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)লখিমপুরে(lakhimpur) এই ঘটনাটি ঘটেছে। যেখানে…

Uttar Pradesh 3 lakh rupees loan

৩০ বছর আগে মৃত ব্যক্তির ৩ লক্ষ টাকা ঋণ (3 lakh rupees loan), খবর জানতে মাথায় হাত পরিবারের। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)লখিমপুরে(lakhimpur) এই ঘটনাটি ঘটেছে। যেখানে ৩০ বছর আগে মারা যাওয়া এক কৃষককে ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছে। কে ঋণের জন্য আবেদন করেছে, কে তা নিয়েছে এবং কারা অনুমোদন করেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে, তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে পুলিশ ও ব্যাংক কর্মীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। যার নামে এই ঋণ, সেই কৃষকের ছেলে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। বর্তমানে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, পুর বিষয়টি লখিমপুর জেলার নিঘাসনের আর্যাবর্ত ব্যাঙ্কের। ব্যাঙ্কটি ৩ বছর আগে ২০২২ সালে কৃষক ইব্রাহিম আলীর নামে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাস করেছে। কৃষককে তিন লাখ টাকাও দিয়েছেন। এখন তার ছেলে জমির বিবরণ বের করলে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। তিনি জানতে পারেন যে তার জমি ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে এবং তাতে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে।

এই নিয়ে তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে গোটা ঘটনা জানালে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মচারীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ আধিকারিকরা এখন পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে।

   

পুলিশ সুত্রে খবর, পদুয়া থানা এলাকার ছেদুই পটিয়া ভাদুরাইহায় অফিসার আলী নামে এক কৃষক থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের কবলে পড়ে পরিবার নিয়ে অন্য গ্রামে চলে গেছেন। কিন্তু, তিনি মাঝে মাঝে জমি দেখাশোনার জন্য আসতে থাকেন। মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি জমির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার কথা ভেবেছিলেন। স্থানীয় হিসাবরক্ষকের কাছে পৌঁছালে হিসাবরক্ষক জমির বিবরণ বের করার কথা বলেন। তিনি যখন কাগজপত্র ইস্যু করেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান। তিনি জানতে পারেন যে জমিটি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রয়েছে এবং তার উপর ৩ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এটা সত্য যে ওই ব্যক্তির বাবা ইব্রাহিম আলী ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় যারাই দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।