দুর্গম গিরিখাত আটকে পড়েছিলেন যুবক। বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। এমন সময় নামে ভারতীয় সেনা। এক দুঃসাহসিক অভিযান। জওয়ানরা সফল। কেরলবাসীর কাছে এখন হিরো লেফটিন্যালনট কর্নেল হেমন্ত রাজ।
বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেকে গিয়েছিলেন বাবু নামের এক যুবক। হঠাৎ পা পিছলে যায় তাঁর। সোজা গিয়ে পড়েন পাহাড়ের এক গভীর খাতে। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা আটকে ছিলেন সেখানে। খবর যায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছে। কেরলে বিশেষ বাহিনী রয়েছে ভারতের। পর্বতারোহণের দক্ষ কিছু জওয়ান ছুটে যান ঘটনাস্থলে। শুরু হয় উদ্ধার কার্য। পাহাড়ের ওপর থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ৪০০ মিটারের দড়ি। যুবকের কাছে পাঠানো হয় জল। বাঁচার আশা জেগে উঠেছিল বাবুর মনে।
পাহাড় থেকে দড়ি ঝুলিয়ে দেওয়ার পর বাবুকে বাঁধা হয় সেটার সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে বের করে আনা হয় খাদ থেকে। একটি ভিডিও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল সামাজিক মাধ্যমে। যুবক যেন দ্বিতীয় প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন। জড়িয়ে ধরেন হেমন্ত রাজকে। এতটাই খুশি হয়েছিলেন তিনি ! রাজও অভিভূত। কেরলে তিনি আগেও মানুষের পাশে থেকেছেন। কিন্তু ‘ এই মুহূর্ত ভুলবো না কখনও’ বলেছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেমন্ত রাজ।
রাজের সঙ্গে আরও সাতজন ছিলেন। ক্যাপ্টেন অনিরুদ্ধ যাদব এবং সুবেদার কে দীপক, সুবেদার হরিশ আনন্দ, নায়ক বালকৃষ্ণ, অ্যান্টনি জয়শীলন এবং ভাস্করণও মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। অনিরুদ্ধ যাদব, কে. দীপক, হরিশ আনন্দ এবং বালাকৃষ্ণ কাশ্মীরের হাই অল্টিটিউড ওয়ারফেয়ার স্কুলে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন৷ সিয়াচেন গ্লেসিয়ার এলাকাতেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। কেরলে হেমন্ত – অনিরুদ্ধরা এখন হিরো। দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্মান।