হার্ট অ্যাটাকের কারনে ৩৫ শতাংশ মৃত্যুই বাংলায়, পরিসংখ্যানে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart disease) হয়ে মৃত্যুতে ভারতের মধ্যে শীর্ষে দুই রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব উভয় রাজ্যেই ৩৫ শতাংশ এরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী হৃদরোগে। যা…

Heart disease in Bengal

হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart disease) হয়ে মৃত্যুতে ভারতের মধ্যে শীর্ষে দুই রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব উভয় রাজ্যেই ৩৫ শতাংশ এরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী হৃদরোগে। যা ভারতে সর্বোচ্চ, কলকাতা-ভিত্তিক বেসরকারি হাসপাতাল এবং বহুজাতিক পরামর্শকারী সংস্থা দ্বারা একটি জাতীয় সমীক্ষা অনুসারে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। গত শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবসের প্রাক্কালে এই রিপোর্ট প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। এজেন্সির সঙ্গে বিএম বিড়লা হার্ট হাসপাতাল এই সমীক্ষা চালায়, রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ভারতে কার্ডিওভাসকুলার মৃত্যুর ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ১৯৯০ সাল থেকে কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রভাব ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ৩০ মিলিয়ন ভারতীয় কার্ডিওভাসকুলার রোগে বা সিভিডি-তে ভূগছেন, প্রতি ১০০,০০০ জনে ২৭২ জনের মৃত্যু হয় এই রোগে। চিকিৎসকদের মতে, সিভিডির কারণ সচেতনতার অভাব এবং চিকিতসার গাফিলতির অভাবে বাংলায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তারা এটাও উল্লেখ করেন যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিচ্ছে।

   

রানী রাসমনির ২৩২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাদুঘরে স্থান পাচ্ছে রানী মা-র আবক্ষ মূর্তি

কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে প্রায় এক চতুর্থাংশ কার্ডিয়াক রোগীকে এখন অ্যাবেশন, অ্যাঞ্জিওগ্রাম, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, পেসমেকার ইমপ্লান্টেশন, এন্ডোস্কোপিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট (TAVI) ইত্যাদি পদ্ধতির ব্যাবহার করা হচ্ছে। চার্নক হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক এবং ভাস্কুলার সার্জেন সন্দীপ সরদার বলেন, কীভাবে ওপেন-হার্ট সার্জারির পরিবর্তে নতুন প্রযুক্তিতে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এন্ডোস্কোপিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট বা TAVI-র মাধ্যমে সম্প্রতি এক জন ৩২ বছর বয়সী ব্যক্তির চিকিৎসা করা হয়েছিল। ফোর্টিস হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক সার্জন, কে এম মান্দানা বলেন, পূর্ব ভারতে ঐতিহ্যগতভাবে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ, সিভিডির পূর্বসূরিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশি। পূর্ব ভারতেও সর্বাধিক সংখ্যক পেসমেকার ইমপ্লান্ট ছিল, তিনি বলেছিলেন, ওজন সমস্যা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং জিনগুলির এর জন্য দায়ী।

“আবার কর্মবিরতি? কেন?” প্রশ্ন ছুঁড়লেন কুণাল!

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯০ সাল থেকে অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়েছে। বি এম বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, অঞ্জন সিওটিয়া বলেন, ভারতীয়দের মধ্যে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি এবং তাই তারা কার্ডিয়াক সমস্যায় আক্রান্ত হতে হয়। সিকে বিড়লা হাসপাতালের সিইও বিপুল জৈন বলেন, এই সমীক্ষাটি প্রতিটি ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা যাতে তাদের সমাজকে সুরক্ষিত করতে পারে তার আহ্বান জানানো হচ্ছে৷