শুক্রবার বৈরুতে চালানো হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ (Hezbollah chief Hassan Nasrallah) নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল সেনাবাহিনী। তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় নাসরাল্লাহ ছাড়াও তার মেয়ে জয়নাবও নিহত হয়েছে। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একটি ছবি অনুযায়ী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্ব পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে ইরান সমর্থিত এই সংগঠনের নেতৃত্ব কে নেবে?
নাসরাল্লাহর মৃত্যু কি হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের সংকট তৈরি করেছে? নাকি বিশ্বাস করতে হবে যে এবার ইজরায়েল লেবাননে উপস্থিত তার শত্রুকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে? আর যদি তা না হয় তাহলে হিজবুল্লাহর দায়িত্ব কে নেবে কারণ এখন পর্যন্ত নাসরাল্লাহ ছিল হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় মুখ। ৩২ বছর ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছে নাসরাল্লাহ।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর মতো দলে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রায়ই গোপন থাকে। শিয়া বিদ্রোহী সংগঠনের বিশেষজ্ঞ ফিলিপ স্মিথ বলেছেন যে কোনো নতুন নেতাকে অবশ্যই লেবাননের সংগঠনের মধ্যে এবং ইরানের সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
তবে, নতুন হিজবুল্লাহ প্রধান হিসেবে একজনের নাম উঠে আসছে, তিনি হলেন হাশেম সাফিউদ্দীন। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, নাসরাল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হাশেম সাফিদ্দীন শুক্রবারের হামলায় বেঁচে যেতে সক্ষম হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। গত সোমবার, অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী লেবাননে হিজবুল্লাহর শত শত টার্গেটকে লক্ষ্য করে একটি এয়ারস্ট্রাইক চালায়। এরপর ইজরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়।
The Israeli @IDF confirms that Hassan Nasrallah, the leader of the Hezbollah terrorist organization and one of its founders, was eliminated yesterday, together with Ali Karki, the Commander of Hezbollah’s Southern Front, and additional Hezbollah commanders.
Nasrallah will no… pic.twitter.com/1ovmoTh183
— Israel Foreign Ministry (@IsraelMFA) September 28, 2024
শুক্রবার, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বক্তৃতার প্রায় এক ঘন্টা পরে, লেবাননে একটি ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে হিজবুল্লাহ প্রধান নিহত হয়েছে। ইজরায়েলের মতে, নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহর সদর দফতরে উপস্থিত ছিল এবং সেই সময় সেনা প্রায় ৬০ টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে শত্রুকে ধ্বংস করে।