আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদের আবহে তিলোতমার গল্প নিয়ে ছবি বানিয়ে বিপাকে পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তী(Prantik Chakraborty)। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজন্যা হালদার(Rajanya Haldar)। সোনারপুর ও বারুইপুরের নানা জায়গায় স্বল্প দৈর্ঘের ছবি আগমনীর শুটিং হয়েছে। আগমনীতে থাকছে তিলোত্তমাদের গল্প। আরজি করের ঘটনার পটভূমিতে এই সদ্যপ্রাক্তন TMCP নেতা-নেত্রীর ছবি ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি ঘোষণা করেছে টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি। কেন তিলোত্তমাদের নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘের ছবির ভাবনা? কি থাকছে ছবিতে? জানালেন পরিচালক প্রান্তিক,ও অভিনেত্রী রাজন্যা।
প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী রাজ্যের ছাত্র রাজনীতিতে পরিচিত মুখ রাজন্যা হালদার। যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আগমনী ছবি প্রসঙ্গে রাজন্য হালদার বলেন, “যাঁরা নির্যাতিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে অনেকে আপোষ করে গিয়েছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। আমাদের তিলোত্তমা সকলের মধ্যে সেই সাহসটাকে জুগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। সকলে যেন প্রতিবাদ করতে পারে। সকলে নিজের নিজের জায়গায় প্রতিবাদ করছে।” এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রাজন্য। পরিচালক প্রান্তিক। চিত্রনাট্য ও কাহিনীও প্রান্তিকের।
দল থেকে প্রান্তিক-রাজন্যাকে সাসপেন্ড করে নজির গড়ল টিম ঘাসফুল
রাজনীতি, বন্ধুত্বের পাশাপাশি এখানেও জুটি বেঁধেই কাজ করেছেন দুজন। প্রান্তিক চক্রবর্তী তৃনমূল ছাত্র পরিষদের-র রাজ্য সহসভাপতি ছিলেন। ছবি মুক্তির আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করল দল। কেন এই ছবি মাথায় এল? উত্তরে প্রান্তিক বলেন, “আমরা বলতে চাইছি ছবিটি প্রতিবাদের গল্প। একটি আশার গল্প। একটি আবেগের গল্প। এটাতে কোনও জুডিসিয়াল বিষয় নেই। ঘটনাতেও ঢুকিনি। কিন্তু একটা নির্যাতনের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এরকম নির্যাতনের ঘটনা সারা ভারত জুড়ে অসংখ্য ঘটছে। আইন আইনের পথেই চলবে। আমাদের মনুষত্বের জাগরণের দরকার আছে। যাঁরা নির্যাতিতি হচ্ছেন। তাঁরা ভয় না পেয়ে প্রতিবাদ করুন। প্রত্যেক নারীর মধ্যেই একজন তিলোত্তমা লুকিয়ে থাকে তা এই ছবির বিষয়বস্তু। তিলোত্তমারা কখনও মরে যান না। তিলোত্তমাদের কোন দিন বিসর্জন হয় না, তিলোত্তমাদের বিজয়া হয়। বিজয়া মানেই তো আগমনীর গল্প।” স্বল্প দৈর্ঘের এই ছবিটি ১৫ মিনিটের একটি গল্প বলে, জানিয়েছেন প্রান্তিক।
প্রান্তিক-রাজন্যা দুজনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই ধরনের ছবি তৈরির কথা মাথায় এল কি করে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রান্তিক বলেন, “আমরা নিশ্চিত ভাবেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। আমরা গর্ব করে বলি আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। এই ছবিটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই ছবিটি শিল্পী প্রান্তিক ও শিল্পী রাজন্য তৈরি করছে। আমরা পারিবারিক সূত্রে দুজনেই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। আমি এর আগেও ছবি করেছি, শর্ট ফিল্মও করেছি। রাজন্যা গানের অনুষ্ঠান থেকে শর্ট ফিল্ম করেছে।” প্রান্তিক আরও বলেন, “এর মধ্যে রাজনীতির কোনও গন্ধ নেই। শিল্পীর সমাজের প্রতি যে দায়বদ্ধতা থাকে, সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই ছবিটি করা। ১ অক্টোবর ছবিটি কলকাতার কোনও অডিটোরিয়ামে স্ক্রিনিং হবে। সাহেব ও রাজন্যার একটি নতুন গান সেদিন মুক্তি পাবে। ২ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পাবে ইউটিউবে।