ম্যাচ হারার পর অভিনব যুক্তি লাল-হলুদ কোচের, জানুন

শুক্রবার আইএসএলের প্রথম হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল এফসি গোয়ার (FC Goa) বিপক্ষে। গত দুই ম্যাচের মতো…

carles cuadrat

শুক্রবার আইএসএলের প্রথম হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল এফসি গোয়ার (FC Goa) বিপক্ষে। গত দুই ম্যাচের মতো এবারও মুখ পুড়েছে ময়দানের এই প্রধানের। ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে মাদিহ তালাল এবং আনোয়ার আলির মতো ফুটবলার থাকার পরেও তিনটে গোল হজম করতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যার প্রত্যেকটি গোল করেছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার বোরহা হেরেরা। গত মরসুমে লাল-হলুদ জার্সিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল এই তারকা ফুটবলারের।

   

সেবার দলের সুপার কাপ জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই স্প্যানিশ ফুটবলারের। কিন্তু সেবার উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে দল বদলে চলে এসেছিলেন এফসি গোয়াতে। নয়া মরসুমে ও তাঁর উপর ভরসা রেখেছেন মানোলো মার্কুয়েজ। সময় মতো তিনি যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন সেই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন কলকাতার বুকে। তবে নিজের প্রাক্তন ফুটবল দল হওয়ায় গোলের পর সেভাবে সেলিব্রেশন করতে দেখা যায়নি এই তারকাকে।‌ অপরদিকে, এদিন মাদিহ তালাল একা গোটা মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ালে ও খুব একটা সক্রিয়তা দেখা যায়নি দলের অন্যান্য ফুটবলারদের।

দলের এমন পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ আপামর লাল-হলুদ জনতা। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরু থেকেই বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে লাল-হলুদ কোচের পরিকল্পনা। শুক্রবার ও তাঁর অন্যথা হয়নি। বলতে গেলে দলের ম্যাচ হারার ক্ষেত্রে কোচের পরিকল্পনার দিকেই আঙুল তুলতে শুরু করেছেন সমর্থকদের একাংশ। এই সব কিছু নিয়েই ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমরা চেষ্টা করেছিলাম। ম্যাচের আগে আমাদের একটা বিশেষ পরিকল্পনা ছিল। তবে সেটা কার্যকরী হয়নি। ম্যাচের প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষ দল আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। কুড়ি মিনিটের মধ্যে দুটি গোল খেয়ে গেলে পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।”

পাশাপাশি কুয়াদ্রাত আরও বলেন, ” আমরা বাকিদের থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ও পিছিয়ে আছি। তাছাড়া আইএসএলের তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটাতে ও ভালো খেলতে পারিনি। আমরা এখন এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন কোনও কিছুই আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঘরের মাঠে ম্যাচ হারাটা মেনে নেওয়া কঠিন। তবে আমাদের দলের ফুটবলারদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। সকলকে ছন্দে ফেরাতে হবে। এটাই এখন সমাধান। আমি আশা করি সাউল ক্রেসপোর পাশাপাশি দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের মতো ফুটবলাররা দলে ফিরলে আমরা আরও ভালো খেলতে পারবো।”

এছাড়াও সমর্থকদের ক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লাল-হলুদ হেড কোচ বলেন, দলের এই পারফরম্যান্সে আমরা সকলেই যথেষ্ট হতাশ। বুঝতে পারছি সমর্থকরা প্রচন্ড অখুশি। ওরা যথেষ্ট আবেগপ্রবণ। ওদের এই ক্ষোভ একেবারেই সম্মত। তবুও এক্ষেত্রে সকলকে ধৈর্য্য ধরার বার্তা দিতে শোনা যায় কুয়াদ্রাতের তরফ থেকে।