জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অসম

Earthquake: বৃহস্পতিবার জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অসম। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৩। গোয়াহাটি-সহ গোটা রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪:৩০ নাগাদ…

earthquake

Earthquake: বৃহস্পতিবার জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অসম। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৩। গোয়াহাটি-সহ গোটা রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪:৩০ নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। অসমের নগাঁও জেলায় অবস্থিত ভূ-পৃষ্ঠে থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় অবধি কোনও হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি উচ্চ সিসমিক জোনে পড়ে। এই কারণে এই অঞ্চলে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়। দেশের সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী, মোট এলাকাকে চারটি সিসমিক জোনে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। Zone V ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চল, অন্যদিকে Zone II সবচেয়ে কম।

   

আনুমানিক, দেশের ১১ শতাংশ এলাকা Zone V-এ পড়ে, ১৮ শতাংশ Zone 4-এ, ৩০ শতাংশ Zone III এবং বাকি Zone II-এ পড়ে৷ ভূমিকম্পবিদদের মতে, এই অঞ্চলটি সিসমিক Zone V-এ পড়ে বলে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।

অসম তার ইতিহাসে দুটি বড় ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে, যা ১৮৯৭ সালে এবং ১৯৫০ সালে ঘটে। ১২ জুন ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পটির আনুমানিক মাত্রা ছিল ৮.২-৮.৩। এই বিপর্যয়ে বিপুল ক্ষতির পাশাপাশি প্রায় ১,৫৪২ জন মানুষের মৃত্যু হয়। দ্বিতীয়, ১৯৫০ সালের ভূমিকম্প, যা Assam Earthquake নামেও পরিচিত। ১৫ আগস্টে ঘটে এবং রিখটার স্কেলে ৮.৭ মাত্রা ছিল। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিশমি পাহাড়ে।

এই ভূমিকম্পটি অসম এবং তিব্বত, উভয় ক্ষেত্রেই ধ্বংসাত্মক ছিল। ভূমিকম্পের ফলে কমপক্ষে ৪,৮০০ জন নিহত হন।