কলকাতার পথে বাংলাদেশের ইলিশ, তবে আনন্দ হয়তো স্বল্পস্থায়ী

কলকাতার বাজারে বাংলাদেশী ইলিশ আসার আনন্দ হয়তো স্বল্পস্থায়ী। বাংলাদেশের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে ইলিশ মাছ বহনকারী প্রথম ট্রাক বৃহস্পতিবার ২৭ সেপ্টেম্বর বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে…

Hilsa gift of Sheikh Hasina to West Bengal

কলকাতার বাজারে বাংলাদেশী ইলিশ আসার আনন্দ হয়তো স্বল্পস্থায়ী। বাংলাদেশের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে ইলিশ মাছ বহনকারী প্রথম ট্রাক বৃহস্পতিবার ২৭ সেপ্টেম্বর বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করল। কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন যে ভারতে আসা ইলিশের অনুমোদিত পরিমাণের মাত্র একটি অংশ এখানে কলকাতার বাজারে পৌঁছেছে।শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন মাছ বাজারে পদ্মার রুপোলি শস্য পাবেন ভোজন রসিকরা।

গত বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ৪৯টি ট্রেডিং কোম্পানিকে ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে তারা। যার মোট পরিমান ২৪৫০ টন। ৩০০০ টনের কম রপ্তানির কথা আগেই জানিয়ে ছিল সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। সূত্রের খবর, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং, রূপালী ট্রেডিং, প্যাসিফিক সি ফুডস, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা এগ্রো ফিশারিজ এবং মাসুদ ফিশ প্রসেসিং-এর মতো কোম্পানিকে মাছ রপ্তানির এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

   

ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশের আমদানি করার জন্য আবেদন করেন। তবে মৎস্য বিভাগের এক উপদেষ্টা বলেছিলেন যে এ বছর ভারতে ইলিশ যে পরিমান ভারতে প্রবেশ করবে তা অনুমোদিত ৩০০০ টনের থেকে অনেকটাই কম পরিমানের হতে পারে। তাঁর কথায় চলতি বছরে বাংলাদেশের মৎস্য বন্দর গুলিতে কম পরিমানে ইলিশ ধরা পরেছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় ও বাণিজ্যে ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হাওয়ায়, বাণিজ্যের জন্য মাত্র হাতে ১৫ দিন বাকি আছে। গত বছর, তারা এক মাস ব্যবসা করেছেন।

হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে তারা আশা করছেন ১ কেজির বেশি ওজনের বাংলাদেশের ইলিশের দাম প্রায় ১৫০০ টাকা ও ১ কেজি ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা হতে পারে। সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেবেন। প্রসঙ্গত, ইলিশ ব্যবসা উপহার নয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের কাছে ইতিবাচক দিক।