কথাতেই আছে ‘নেভার জাজ এ বুক বাই ইটস কভার’, অর্থাৎ প্রচ্ছদ দেখে একটা গোটা বই সর্ম্পকে যেমন ধারণা করা যায় না। ঠিক তেমনই বর্তমান সময়ে, বয়সের মাপকাঠিতে প্রতিভার বিচার করা যায় না। মাত্র ১১ বছর বয়সেই সোনার পদক জয় করে বাংলা তথা সমগ্র ভারতের নাম উজ্জ্বল করলেন কেয়া দাস (Keya Das)। গতকাল এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন প্রতিযোগিতার মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে সোনা জিতেছেন পূর্ব বর্ধমানের এই ক্ষুদে তারকা।
এবছর এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল থাইল্যান্ডের পাটোয়া শহরে। বিগত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে পাটোয়ার গ্র্যান্ড পালাজো হোটেলে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন ইউনিভার্সাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশন নামক সংস্থা। গতবারের মতই এবারের প্রতিযোগিতায় ছিল তিনটি বিভাগ-ট্র্যাডিশনাল, রিদিমিক এবং আর্টিস্টিক। আর এই প্রতিযোগিতার ট্র্যাডিশনাল বিভাগে সোনার পদক জয় করেন কেয়া দাস। মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে এদিন কেয়া সূর্যনমস্কার সহ পাঁচটি বিশেষ আসনেই প্রতিযোগীদের মধ্যে সব থেকে বেশি পয়েন্ট লাভ করেন।এই প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও জার্মানি, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড সহ এশিয়ার আরও অনেক দেশের প্রতিযোগীরাও অংশ নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এই প্রতিযোগিতা জেতার ফলে আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে গেল বাংলার এই ক্ষুদে তারকা। এই বয়সে কেয়ার এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার থেকে শুভানুধ্যায়ীরা। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বারুইপাড়ায় থাকেন ছোট্ট কেয়া এবং তার পরিবার। সে এখন কালনা হিন্দু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। এদিন ছাত্রীর সাফল্যের পর কেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফাল্গুনী মল্লিক বলেন, ”ওর মধ্যে অসম্ভব প্রতিভা রয়েছে। ওর সাফল্যে আমরা গর্বিত। আমরা আশাকরি আগামী দিনে ও আরও বড় প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাবে।” ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি যোগাসনই কেয়ার (Keya Das) ধ্যানজ্ঞান। মেয়ের এই সাফল্যে খুশি বাবা স্বপনকুমার দাস ও মা শুভ্রা দাস।
সংবাদমাধ্যমকে এদিন তাঁরা বলেন, “যোগাসন ওর প্রাণ। ভাইজাগেও ভালো ফল করবে কেয়া’। তবে সব মিলিয়ে থাইল্যান্ডে সোনা জিতলেও আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বিশ্ব যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপকেই এখন পাখির চোখ করতে চলেছেন বাংলার এই নতুন তারকা।