কলকাতা পুরসভার বোর্ডে নেই বাংলা, মেয়রকে নিশানা বাংলাপক্ষর

পশ্চিমবঙ্গে হিন্দিভাষীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বাংলাপক্ষ (Bangla pokkho)। রাজ্যের বাজার-অর্থনীতিতে বিহার-উত্তরপ্রদেশের ‘দখলদারি’ থেকে ভূমিপুত্রদের চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের…

Bangla pokkho leader Garga Chatterjee attacks for not to write bengali in Kolkata municipality sineboard

পশ্চিমবঙ্গে হিন্দিভাষীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বাংলাপক্ষ (Bangla pokkho)। রাজ্যের বাজার-অর্থনীতিতে বিহার-উত্তরপ্রদেশের ‘দখলদারি’ থেকে ভূমিপুত্রদের চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের নের্তৃত্বাধীন বাংলাপক্ষ। বাংলার বুকে বাঙালির অধিকারের লড়াই সংগঠনটি মুখ্য উদ্দেশ্য। এবার সেই কলকাতায় বাংলা ভাষায় পোস্টার না লেখায় কার্যত নিজের ফেসবুকে পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাংলা পক্ষের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাটি কলকাতা পুরসভার ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে গার্ডেনরিচ এলাকার। সেখানে একটি বাজারে একটি সাইন বোর্ডে বাংলার পরিবর্তে ইংরাজি ও উর্দুতে লেখা রয়েছে। তা নিয়ে পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। 

মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে খারিজ ইডির মামলা

   

শুক্রবার গর্গ লেখেন, “বাংলা ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের রাজধানীতে এমন কোন বোর্ড পাওয়া যাবে যেখানে পৌরসভা একটি বোর্ড দিয়েছে যেখানে সেই রাজ্যের মূল ভাষাটা নেই কিন্তু অন্য দুটি ভাষা আছে?

যে কলকাতার মেয়র উর্দুভাষী ববি হাকিম, যে কলকাতার মেয়র চায় ৫০% মানুষ উর্দু বলুক ( যে বক্তব্যের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছে একমাত্র বাংলা পক্ষ, আর কোন দল বা সংগঠন নয়), সেই কলকাতায় ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কলকাতা পৌরসভার সাইনবোর্ডে উর্দু আছে, ইংরেজি আছে, বাংলা নেই। দশকের পর দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে যারা ইউপি বিহার থেকে, তারা কিভাবে যৌন বিন্যাস বদলে দিয়েছে এবং কিভাবে বাংলার রাজধানীকে আজ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে তার লজ্জাজনক উদাহরণ এই ছবি। তবুও কিছু বাঙালি বলবে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই না, যে কোন ভারতীয় যে কোন জায়গায় যেতে পারে। ওরে বাঙালি, তোর নিজের মাটিটা যদি বাঁচাতে না পারিস ভারতে অন্য কোন জাতি বা বিশ্বের কোন জাতি তোকে নিজের মাটি যোগাতে আসবে না।

খানাকুল-বলাগড়ে ভাসল গ্রামের পর গ্রাম, ডুবল একাধিক বাড়ি

বাংলার মাটিতে সব বাজারই তো বাঙালি বাজার হবার কথা। আলাদা করে লিখতে হচ্ছে মানে, সে এলাকায় বাঙালি কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বহিরাগত আলাদা করে চিহ্নিত করে দিচ্ছে এটা বাঙালির। ঠিক যেমন, অন্য রাজ্যে বাঙালিটোলা বা বাঙালিপাড়ার কথা বলা হয়।‌ অর্থাৎ এই এলাকাটা যেন বাংলার মধ্যেই নেই। তফাৎ হলো এটা খাস পশ্চিমবঙ্গে। ‌ শুধু খাস পশ্চিমবঙ্গে নয় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়, ইউপি বিহার থেকে বাংলায় ঢুকে উর্দু হিন্দি চালিয়ে যাওয়া বহিরাগত অধ্যুষিত গার্ডেনরিচ। এখানেই এমন কাউন্সিলর পাওয়া যায় যে বাংলা বলতে জানে না।

আপনার ফোনে সেভ করুন এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, জানতে পারবেন সুপ্রিম কোর্টের মামলার শুনানি

বাংলা পক্ষ বাংলার মাটিতে এমন কোন সরকারি সাইনবোর্ড চায়না যেখানে বাংলা নেই। বাংলা পক্ষ বাংলার মাটিতে এমন কোন সাইনবোর্ড চায় না যেখানে উর্দু আছে।

বহিরাগত তোষণকারী কলকাতা পৌরসভাকে ধিক্কার। এই কলকাতা পৌর সবারই নিয়ম আছে যে সাইনবোর্ডে বাংলা রাখতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে, তা নাহলে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে না। কলকাতা পৌরসভা কি নিজের নিয়মের উপরে, নাকি বহিরাগত উর্দু তোষণ করতে করতে পুরোপুরি নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে গয়া থেকে আসা উর্দুভাষী পরিবারের সন্তান ববি হাকিমের নেতৃত্বে কলকাতা পৌরসভা? গার্ডেনরিচে এই সাইনবোর্ডে বাংলা আনার প্রতিজ্ঞা করল বাংলা পক্ষ।”