বাংলাদেশি জিহাদিরা বেহেস্তে ৭২টা মেয়েমানুষের সঙ্গে অনন্তকাল সম্ভোগ…বিস্ফোরক তসলিমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) মধ্যে এক যুবককে শেষ খাওয়া খাইয়ে গণপিটুনিতে মেরে ফেলার ভিডিওতে বিশ্ব শিহরিত। বাংলাদেশের (Bangladesh) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এক পড়ুয়াকে গণপ্রহারে খুন করা…

Taslima-Nasreen

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) মধ্যে এক যুবককে শেষ খাওয়া খাইয়ে গণপিটুনিতে মেরে ফেলার ভিডিওতে বিশ্ব শিহরিত। বাংলাদেশের (Bangladesh) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এক পড়ুয়াকে গণপ্রহারে খুন করা হয়েছে। হামলার ঘটনার ছবি ও বিবরণ দিয়ে বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) কটাক্ষ, জিহাদিরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

তসলিমা নাসরিন যে কোনও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধী। তিনি নাস্তিক-যুক্তিবাদী। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত তসলিমা নাসরিন সুইডেনের নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে থাকেন।

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গণপিটুনিতে নিহতের নাম তোফাজ্জল। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক ছাত্র চোর বলে অভিযুক্ত করে পিটিয়ে মেরে ফেলে। মারবার আগে তাকে খাওয়ানো হয়। হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে। কয়েকজন ধৃত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের ভিতর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “সৌদি আরব, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, এমনকী পাকিস্তান নিয়ে আমার আশা আছে, কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে কোনও আশা নেই। কারণ বাংলাদেশের অশিক্ষিত জিহাদিগুলো সপ্তম শতাব্দির আইন আনতে চাইছে একবিংশ শতাব্দির রাষ্ট্রে । তাছাড়া তাদের ধর্মীয় আবেগ আছে, ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তারা একটা কারণেই জিহাদ করছে, সেটা হলো বেহেস্তে গিয়ে ৭২টা ন্যাংটো মেয়েমানুষ পাবে অনন্তকাল সম্ভোগ করার জন্য, আর এ জন্য ৭২টা মানুষ যদি খুন করতে হয়, তারা খুন করবে।”

তসলিমা লিখেছেন, “যে ছাত্ররা আজ মানুষ মেরে হাত পাকাচ্ছে, তাদের আর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কী দরকার! ভাড়াটে খুনী ছাড়া তাদের জন্য আর উপযুক্ত কোনও পেশা নেই। যারা শিক্ষক মেরে হাত পাকিয়েছে, ভাড়াটে লেঠেলই তাদের উপযুক্ত পেশা। দেশ এখন চরম দুঃসময়ের চোরাবালিতে আটকে গেছে, একে উদ্ধার করার শক্তি ঈশ্বর বলে যদি কিছু থাকে কোথাও, তারও নেই। গণতন্ত্র নামক স্বপ্নটির অস্তিত্বও আজ কোথাও নেই।”

গণবিক্ষোভে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুজনের বিরুদ্ধেই ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তসলিমা নাসরিন। একইসঙ্গে পূর্বতন আরও এক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও সরব তসলিমা। শেখ হাসিনার শাসন ছিল স্বৈরাচার আর হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ জিহাদিস্তান হয়ে গেছে বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন

তিনি লিখেছেন, শেখ হাসিনার সমর্থকদেরও খুন করা হচ্ছে-“জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শামীম আহমেদ নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে খুন করেছে, কারণ সেই ছাত্র ছাত্রলীগের সদস্য ছিল। এই দেশে কোনও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সদস্য বা সমর্থক বাস করতে পারবে না, এই হলো জিহাদি জঙ্গীদের ঘোষণা।”