তৃণমুল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে রাজ্য। জেলায় জেলায় দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল ও পারস্পরিক সংঘর্ষ চলছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, একই অবস্থা হতে চলেছে বিরোধী দল বিজেপির (BJP) মধ্যেও। শুধু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার বাকি। দলত্যাগ ও পদত্যাগের সুনামি আছড়ে পড়তে চলেছে মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দফতরে।
পুরসভা ভোটের আগে স্বস্তিতে নেই বঙ্গ বিজেপি। বেঁকে বসেছেন বিদ্রোহীরা। রণংদেহী অভিজ্ঞরাও। হুড়মুড়িয়ে ভাবে সমর্থক ভোট ব্যাংক।বিধানসভা ভোটের পর উপনির্বাচন ও কলকাতা পুরনিগম ভোটে হাঁড়ির হাল বিজেপির।
বিধানসভায় শূন্য হলেও তুলনায় অনেক সংঘবদ্ধ সিপিআইএম এমন যুক্তি উঠছে শাসক টিএমসি ও বিরোধী শিবিরে। তাৎপর্যপূর্ণ, বাম ভোট ফিরছে বামে এমন পরিসংখ্যান চলে এসেছে বিগত ভোটগুলিতে।
এদিকে বিজেপি শিবিরে গুঞ্জন, প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হলেই আরও নেতা চলে যেতে পারেন শিবির ছেড়ে। জেলাস্তরে ক্ষোভ তুঙ্গে। অভিযোগ, ভোটের টিকিট দেওয়া তো দূরের কথা, নূন্যতম পাত্তাটুকুই দিচ্ছেন না উঁচুতলার নেতারা। সাময়িক বরখাস্ত হয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য ছিল ‘অনলাইন মিটিং-এ কিছু বলতে গেলেও মিউট করে দেওয়া হয়।’ তিনিও টিএমসিতে যেতে পারেন।
পুরভোট সামনে রেখে বিজেপিতে রাম-রাবণ যুদ্ধ শুরু হলো বলে। এমনই মন্তব্য জেলা নেতাদের একাংশের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রার্থী নিয়ে যেমন ক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল, দলীয় দফতরগুলিতে আগুন ধরানো ও ভাঙচুর হয়েছিল তেমনই হতে চলেছে।
তবে লাখ টাকার প্রশ্ন, বিজেপির প্রার্থী পদ নিয়ে কতটা ক্ষোভ তৈরি হবে? দলেরই নেতারা মনে করছেন, একেবারে লংকা কাণ্ড বেঁধে যাবে।