নৈতিকতার সঙ্গে কেজরিওয়ালের সম্পর্ক নেই, বললেন কংগ্রেস নেতা!

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ইস্তফা (Arvind Kejriwal Resignation) দেবার বিবৃতি প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা…

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ইস্তফা (Arvind Kejriwal Resignation) দেবার বিবৃতি প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি যে পদত্যাগ করাই তার উচিত কাজ হবে। এটা একটা গিমিক।”

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আদেশ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “এটা প্রথমবারের জন্য হচ্ছে যে একজন নির্বাচিত নেতা জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন, এবং সুপ্রিম কোর্ট তাকে সিএমও-তে যেতে ও কোনও কাগজপত্রে সই করতে নিষেধ করেছেন। অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রীর উপর কখনোই কোনও শর্ত আরোপ করা হয়নি। হয়তো সুপ্রিম কোর্টও ভয় পাচ্ছে যে এই ব্যক্তি প্রমাণ লোপাট করারও চেষ্টা করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট তার সঙ্গে একজন অপরাধীর মতো আচরণ করছে। নৈতিকতার সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কোনও সম্পর্ক নেই।”

   

প্রসঙ্গত, আজ অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর সকালেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে তিনি আগামী দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তিনি বলেছেন যে, “মানুষের বাড়ির দরজায় দরজায় যাবো আমি। মানুষের রায় নিয়েই আমি আবার চেয়ারে বসবো।”

সিবিআই (CBI) কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে যে আবগারি দুর্নীতির মামলা করেছিল তার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন দিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধও জারি করেছে কোর্ট। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে, তিনি তার আইনজীবিকে বলেছিলেন যে আদালত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন না। কিন্তু, এই মামলা ১০-১৫-২০ বছরও চলতে পারে। তাই তিনি জনতার আদালতে এসে বিচার চেয়েছেন। কেজরিওয়াল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, জনগণের রায় নিয়েই তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন।