আরজি কর কাণ্ডে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর

চারদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের কাছে নিজেদের পাঁচদফা দাবিতে অনড় থেকে লাগাতার ধর্ণা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরই মাঝে হঠাৎ সকলকে চমকে দিয়ে শনিবার চিকিৎসকদের ধর্ণাস্থলে…

Former TMC MP Jawhar Sircar praises Mamata Banerjee in the RG Kar Case.

চারদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের কাছে নিজেদের পাঁচদফা দাবিতে অনড় থেকে লাগাতার ধর্ণা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরই মাঝে হঠাৎ সকলকে চমকে দিয়ে শনিবার চিকিৎসকদের ধর্ণাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন উদ্যোগে বেজায় খুশি হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)।

আর তিনি তাঁর সেই খুশির বহিঃপ্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ঠিক কী বলেছেন জহর সরকার? শনিবারে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে শুধুমাত্র একটি শব্দেই বর্ণনা করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে ‘বাঃ’ এই শব্দটি প্রয়োগ করে প্রাক্তন সাংসদ লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম, ‘আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা ব্যানার্জীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না’।”

   

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে যে তিনি খুশি নন সেকথা জানিয়ে কিছুদিন আগে সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। মমতাকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, “মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।”

সেইসঙ্গে দুর্নীতি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন তিনি। এরপর আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। তবে এতদিন রাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে খুশি না হলেও শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী যে চিকিৎসকদের ধর্ণামঞ্চে পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন সেটাকে বাহবা দিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন বর্ষীয়ান সাংসদ জহর সরকার।